টাকার বিনিময়ে ইয়াবাসহ আটককৃতদের ছেড়ে দিয়েছে টেকনাফ কোস্টগার্ড

mama

টেকনাফ প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফে কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে ১৬ হাজার ইয়াবাবড়ি ও একটি নৌকাসহ আটক দুইজন ও ইয়াবার প্রকৃত মালিককে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কোস্টগার্ডের দাবী, আটক দুইজনকে থানা পুলিশে হস্তান্তর করার জন্য গাড়িতে করে নেওয়ার সময় কেরুনতলী ব্রীজ এলাকায় পৌছলে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে তারা দুজন পালিয়ে পাশ্ববর্তী পাহাড়ে ঢুকে পড়ে। এর আগে নাফনদীতে অভিয়ানের সময় শামসু নামে অপরজন পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইয়াবাসহ আটক দুইজনকে কোস্টগার্ডের নতুন ভবনে রাখা হয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হঠাৎ করে কোস্টগার্ড সদস্যরা কানাঘুষা করতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরে জানা যায় ইয়াবাসহ আটক দুইজন পালিয়ে গেছে। এর আগে ইয়াবার প্রকৃত মালিক সামসুল আলমকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ধামাচাপা দিতে কৌশলে ইয়াবাসহ আটক দুইজনকেও ছেড়ে দেয়।

এক সঙ্গে দুইজন লোক পালিয়ে যাওয়া নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।

গত শুক্রবার দুপুরে নাফনদীর বরইতলি এলাকা থেকে বিপুল পরিমানের ইয়াবা বড়িসহ একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছিল। ওইদিন বিকেলে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ১৬ হাজার ইয়াবা বড়িসহ দুইজনকে আটক দেখায়। পরে তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লে. ডিকশন চৌধুরী নিশ্চিত করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ওই সময় আটক মো. সাবের আহমদ ও হোসেন আহমদ। তারা জানায়, তাদের সঙ্গে নৌকায় থাকা সামসুল আলম নামে এক ব্যক্তি ওই ইয়াবার প্রকৃত মালিক।

সামসুল আলম নিজে ইয়াবাগুলো নৌকা যোগে টেকনাফ আনতে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে ইয়াবাগুলো পাচারের সহযোগিতা কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) মো. আতাউর রহমান খন্দকার জানান, নাফনদী থেকে ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করার সংবাদ দিয়ে শনিবার রাতে ১৬হাজার ইয়াবা বড়ি থানায় হস্তান্তর করে। কিন্তু এতে কোন আটক আসামি ছিল না। এজাহারে তিনজনকে পলাতক আসামি করে একটি মামলা রুজু করে।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লে. ডিকসন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।

আটককৃতদের পুলিশে সোর্পদ নাকরা এবং মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ইয়াবার প্রকৃত মালিককে ছেড়ে দেওয়া প্রসংগে জানতে চাইলে কিছুক্ষন পরে কথা হবে বলে মুঠোফোনটি কেটে দেন।

এরপর থেকে লে. ডিকসন চৌধুরী মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন