কৃষক শাহ আলম প্রশংসায় ভাসছেন

টেকনাফে ছেলেকে বাঁচাতেই দা’র কোপে দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

fec-image

টেকনাফে অপহরণ করতে এসে জনতার হাতে আটক হন ২ রোহিঙ্গা অপহরণকারী। স্থানীয়দের গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হন ওই ২ অপহরণকারী। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার (৩১ জুলাই) দিবাগত সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজারের পাহাড়ি এলাকয় ঘোনা নামকস্থানে এই ঘটনা ঘটে। নিহত অপহরণকারী কুতুপালং ১নং ক্যাম্পের বাসিন্দা আজিমুল্লাহ। অপর আহত অপহরণকারী হলেন মোহাম্মদ হাশেম। দু” জনই একই ক্যাম্পের বাসিন্দা এমন পরিচয় প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ভাবে।

পরবর্তী সময়ে তাদের ছবি ও ভিডিও দেখে লোকজন ডাকাত আবদুল হাকিম ও বশিরকে সনাক্ত করে। পরবর্তী সময়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত অপহরণকারী বশির নিজের সঠিক নাম পরিচয় প্রকাশ করে এবং নিহত ব্যক্তি আব্দুল হাকিম ডাকাত বলে স্বীকার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় শাহ আলমের দুই ছেলে আবছার ও তার ছোট ভাই পাহাড় থেকে নিজেদের পালিত গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ঘোনার কাছে এলে আবছারকে অপহরণকারীরা তাকে ধরে বেঁধে ফেলে। এসময় ছোট ভাই চিৎকার করলে তাদের পেছনে থাকা বাবা শাহ আলম এসে দুই রোহিঙ্গাকে ধাওয়া করে হাতে নাতে ধরে ফেলে। স্থানীয় জনতাও যোগ দেয় শাহ আলমের সঙ্গে। একপর্যায়ে দুই অপহরণকারীদের ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়।

পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়, পুলিশ এসে দুজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান বলেন, অপহরণ করতে এসে দুই রোহিঙ্গা জনতার হাতে আটক হয়। জনতার গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছে আরেকজনের অবস্থা গুরুতর। তবে গোটা একদিন পরে চাউর হয় নিহত ও আহত দু’জন দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম ও বশির। তবে এই ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন অপহরণকারী কবল থেকে ছেলেকে উদ্ধার করা কৃষক শাহ আলম।

টেকনাফ উপজেলার হৃীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন,” টেকনাফে অপহরণ,খুন, মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় অতিষ্ঠ জনপদে পরিনত হয়েছে। এই সময়ে ছেলেকে রক্ষা করতে পিতার এমন ভূমিকা জনমনে বীরত্বের পরিচয় বহন করছে।”

কে সেই দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম:
দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম। বেড়ে ওঠা গরু চোরাকারবারির মাধ্যমে। মিয়ানমার থেকে গরুর চালান নিয়ে আসতো বাংলাদেশে। মিয়ানমারে ম্যাট্রিক পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন তিনি। পরে জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা ও অস্ত্র কারবারে। ভিআইপিদের শেল্টারে এক সময়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে গড়ে তোলেন ডাকাত বাহিনী। মিয়ানমারের রাশিদং থানার বড়ছড়া গ্রামের জানি আলীর ছেলে আবদুল হাকিম কক্সবাজারের সীমান্ত জনপদ টেকনাফের পাহাড়ি অঞ্চল ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম।

গত দু”যুগের ও বেশী আগে হাকিম মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে খুন করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নেন টেকনাফে। সঙ্গে নিয়ে আসেন স্ত্রী-সন্তান ও পাঁচ ভাইকে। অভিযোগ রয়েছে, কুতুবদিয়া দ্বীপে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্ম নিবন্ধনসহ ভোটার আইডি তৈরি করে নিয়েছেন হাকিম ও তার পরিবারের সদস্যরা। টেকনাফ পৌরসভার শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার জহির আহমদ ওরফে গাছ জহিরের মেয়ে ইসমত আরা বেগমকে বিয়ে করেন হাকিম। তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। ইসমতের ভাই নুইজ্জা ডাকাত হাকিমের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত। তিনিও বন্দুক যুদ্ধে মারা যান।

গত ২০০০ সালের ২৬ জুন পুলিশ তাদের আস্তানায় অভিযান চালালে হাকিম ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও নিহত হন। তার ২ ভাই বশির আহমেদ ও আবদুল হামিদসহ ৪ জন। এর আগে তার আরেক ভাই, শ্যালক ও স্ত্রী পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

সীমান্ত জনপদের ভিআইপিদের শেল্টারে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে রোহিঙ্গা আবদুল হাকিম টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেছে। টেকনাফ পৌর এলাকার পুরাতন পল্লান পাড়ায় বনভূমি দখল করে গড়েছেন কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বিশেষ কায়দায় প্রাসাদোপম অট্টালিকা। অবশ্য এসব অট্টালিকা এখন আর নেই। ঘুরিয়ে দিয়েছে স্হানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ।

অভিযোগ রয়েছে, ডাকাত হাকিম ২০১৫ সালের ১২ জুন সেলিম ওরফে মুন্ডি সেলিমকে হত্যা করেন। নুরুল কবির নামে একজনকেও খুন করে হাকিম বাহিনীর সদস্যরা। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের মংডুর বাসিন্দা নুরুল হকের ছেলে নুর হাফেজ ও নাইট্যংপাড়ার মৃত মোহাম্মদ কাশিমের ছেলে তোফায়েলকেও অপরহরণ করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

সূত্র মতে, ২০১৫ সালে ১৩ জুন টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লানপাড়ার বাসিন্দা ও পুলিশের তথ্যদাতা (সোর্স) মোহাম্মদ সেলিম ও ওরফে মুন্ডি সেলিমকে কুপিয়ে হত্যার পর প্রথম আলোচনায় আসে এই ডাকাত সর্দার। ২০১৬ সালের ১৩ মে হাকিম ও তার বাহিনীর সদস্যরা হামলা চালিয়ে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মুছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ব্যারাকে লুটপাট চালায়।

এ সময় গুলিতে নিহত হন ব্যারাকের আনসার কমান্ডার মো. আলী হোসেন। এ সময় আনসারের ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬৭০টি গুলি নিয়ে পাহাড়ে আত্মগোপন করে হাকিম ডাকাত। পরদিন হাকিমসহ বাহিনীর ৩৫ সদস্যের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় খুনসহ অস্ত্র লুটের মামলা হয়। পরে র‌্যাব বিভিন্ন আস্তানায় হানা দিয়ে লুন্ঠিত ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১১৫টি গুলিসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। তবে হাকিম ডাকাত ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এরপর ২০১৬ সালে ৪ জুলাই টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে (৬৫) গুলি চালিয়ে হত্যা করে এই হাকিম ডাকাত । স্থানীয়রাসহ রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, পাহাড়ে আশ্রয়স্থল বানিয়ে খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও মানবপাচার করত এসব ডাকাত দল। তবে তাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ তারা মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করত । আর তাদের সহযোগিতা করছে প্রকাশ্যে থাকা রোহিঙ্গাদের একটা চক্র।

এ ছাড়াও এসব ডাকাতদলের মাধ্যমে কোনও কোনও পাহাড়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহৃতদের গুলি করে হত্যার নজিরও রয়েছে। জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় লোকজন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তাদের হাতে দেশি অস্ত্র ছাড়াও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ছিল । পাহাড়ে অপরাধের ‘রাজা’ বনে যান। হাকিম বাংলাদেশে আসার পর প্রথমে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের পেছনের সরকারি বনভূমিতে ভবন তৈরি করে বসবাস করতো। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে অন্য জায়গায় সরে যান।

অভিযোগ রয়েছে, ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালালে পুলিশের ওপর হামলা চালায় ডাকাত হাকিম বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে তার স্ত্রী হিসাবে পরিচিত টেকনাফের পল্লানপাড়া এলাকার রুবি আক্তার (৪০) ও ডাকাত হাকিমের ভাই কবির আহমদ (৩২) নিহত হয়।

টেকনাফের ভিআইপি প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে হাকিম ডাকাতের বাড়বাড়ন্ত। নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে ছোট ভাই নজির আহমদকে বিয়ে দেন ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির নিকট আত্বীয়ের মেয়ের সঙ্গে। নজির টেকনাফ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি। টেকনাফের গহীন অরণ্যে রয়েছে হাকিম ডাকাতের একাধিক আস্তানা। টেকনাফের ফকিরামুরা ও উড়নিমুরা নামে পরিচিত গহীন বনের বিশাল এলাকায় এসব আস্তানার অবস্থান। এখানে তার বাহিনীর অন্তত অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডারেরও বসতি রয়েছে। হাকিমের সঙ্গে সব সময় দুটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। এছাড়া তিনি একাধিক দেহরক্ষী নিয়েও চলতো ।

উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে আছে তার একাধিক সোর্স। পাহাড়ের কোন স্থানে হাকিম কখন অবস্থান করেন তা কেউ জানতো না। বেশ কছর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একবার অভিযান চালিয়ে তার আস্তানা থেকে একটি স্যাটেলাইট ফোনসেটও উদ্ধার করেছিল। তবে তখন তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। গত চার বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ১০ অভিযান চালালেও কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে ধরতে পারেনি।

ডাকাতি, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আবদুল হাকিমকে ধরতে দফায় দফায় অভিযান চালালেও বার বার পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি। সর্বশেষ পালিয়ে যান ২০০০ সালের ২৬ জুনেও। এদিন পুলিশ ওই আস্তানায় অভিযান চালালে হাকিম ডাকাতের ভাই হামিদসহ ৪ ডাকাত নিহত হয়। নিহত অপর ২ জনের নাম বশির, রফিক ও রইঙ্গা। তবে এই অভিযানেও হাকিম ডাকাত পালিয়ে বাঁচে ।

এর আগে গত ২০০০ সালের ডিসেম্বরে হাকিম ডাকাতকে গ্রেফতারে মরিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে ধরিয়ে দিতে সর্বোচ্চ পুরস্কার ঘোষণা করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। কিন্তু অবশেষে একজন কৃষক পিতা অপহৃত ছেলেকে বাঁচাতেই কোপাতে থাকে অপরিচিত অপহরণকারীদের। এতেই এক পর্যায়ে প্রাণ হারায় একজন। পরের দিন ১ আগস্ট মঙ্গলবার নিশ্চিত হওয়া গেছে নিহত ওই অপহরণকারীই সেই ডাকাত আবদুল হাকিম। হাকিম বাহিনীর গুলিতে নিহত সিরাজুল ইসলাম মেম্বারের ছেলে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল ফারুক জানান, ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি আহত অপহরণকারী ডাকাত বশির ও নিহত অপহরণকারী ডাকাত আবদুল হাকিম।

পুলিশের সুত্র মতে, এই আবদুল হাকিম ডাকাত ও তার বাহিনীকে ধরার জন্য বছরের পর বছর সময় ধরে চেস্টা চালিয়ে আসছে প্রশাসন। টেকনাফ হোয়াইক্যং এর গহীন পাহাড়ে আবদুল হাকিম ডাকাতকে ধরার জন্য ড্রোন উড়ানো, হেল্পিকপ্টার যোগে র‌্যাবের অভিযানের মতো দু:সাহসিক অভিযানও ইতোপূর্বে চলেছে। বার বার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেও প্রশাসনের হাতে অধরাই ছিল বাহিনী প্রধান আবদুল হাকিম ডাকাত।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক বলেন,” নিহত অপহরণকারী হাকিম ডাকাত কিনা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ”
তবে তিনি আরো জানান, ” হাকিম ডাকাতের বিরুদ্ধে ২৮টি মামলার পরেও অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়েছে এই ডাকাত। তবে অনেক ভিকটিম, অনেক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তার ভয়ে মামলা করেনি। তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রণী-পেশার মানুষকে টার্গেট ভিত্তিক অপহরণ করে মুক্তির বিনিময়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে। সর্বশেষ পাহাড়ে বসবাসরত নিরীহ এক পরিবারে মেয়েকে আবদুল হাকিম ডাকাত ও তার ভাইসহ ধর্ষণ করে। এব্যাপারে একটি ধর্ষণ মামলাও হয়। আবদুল হাকিম ডাকাত একজন অপহরণকারী, খুনি, ধর্ষক, অস্ত্র ব্যবসায়ী, মাদক পাচারকারী ও মানবপাচারকারী।

পুলিশ সূত্র মতে, গত ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আবদুল হাকিম ডাকাতকে ধরার জন্য পুলিশ সদস্যরা হোয়াইক্যং এর গভীর পাহাড়ে অভিযান চালায়। সেই সময়ও আবদুল হাকিম ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এসময় হাকিম ডাকাতের দুইভাই, ভগ্নিপতি ও হাকিম স্ত্রী পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায়। এছাড়া বিভিন্ন সময় পুলিশের সাথে এনকাউন্টারে আরও অসংখ্য সহযোগী মারা যায়। তার আশপাশের ঢালপালা শেষ হয়ে যায় অনেক আগে। ”
অবশ্য যে কেউ তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুলিশের সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রদানের ঘোষণাও দিয়েছেন পুলিশ সুপার।

সূত্রমতে, হাকিম যে পাহাড়ি এলাকায় থাকতেন সেই এলাকায় বসতিগুলোর বিরাট একটা অংশ পুরাতন রোহিঙ্গা। যারা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে এসেছে, বিভিন্ন কৌশলে বনবিভাগের জমিতে বসতি গড়ে তুলেছে। সেখানে কিছু চাকমা জনগোষ্ঠী আছে, তারাও বসবাস করে। রোহিঙ্গা এবং চাকমা জনগোষ্ঠীর সহযোগীতা নিয়ে পাহাড়ে পাহাড়ে অবস্থান করে। কখনো কখনো এদের সহযোগিতা জোরপুর্বকও নেয় বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় সাতটি হত্যা, ছয়টি অপহরণ, দুটি মাদক, দুইট ডাকাতি ও একটি ধর্ষণ মামলাসহ ২৮টি মামলা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন