ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাহারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে- লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান

26.03.2016_Matiranga 26 March NEWS.c

সিনিয়র রিপোর্টার :

আমাদের জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধ এক অনন্য অর্জন উল্লেখ করে মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। তাদের মাধ্যমেই আমাদের এ অর্জনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে না পারলে আমাদের এ অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি এম মশিউর রহমান।

মাটিরাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সুখী সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাবহার’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনা সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরুল কায়েস, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভুইয়া ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের পাক বাহিনীকে হটিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি বলেই ডিজিটালাইজেশনের দিকে পা দিয়েছি। ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যাহারের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদেরকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিবে। সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে আজকের বাংলাদেশ।

সভাপতির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি এম মশিউর রহমান মাটিরাঙ্গাকে ডিজিটালাইজেশন করতে মাটিরাঙ্গার রাজনীতিক ও পেশাজীবীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, দেশের প্রথম উপজেলা অ্যাপস হিসেবে মাটিরাঙ্গা উপজেলার অ্যাপস সারাদেশে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। যেখানে মাটিরাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব তথ্য রয়েছে। মাটিরাঙ্গা ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ডিজিটাল সেন্টার হবে মাটিরাঙ্গার তথ্য ভাণ্ডার। মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতাকে হৃদয়ে ধারণ করেউ মাটিরাঙ্গাকে ডিজিটালাইজেশন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

পরে মাটিরাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর শীল্পিদের পরিবেশনায় ঘন্টাব্যাপী মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিল্লুর রহমান এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি এম মশিউর রহমান সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। এসময় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার দর্শকের উপস্থিতিতে কানায় কানায পরিপূর্ণ হয়ে উঠে মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন