ডুবোচরে আটকে কাপ্তাই লেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ইফতার জোটেনি লঞ্চের শতাধিক যাত্রীর

fec-image

ঘটনাটি ঘটেছে লংগদু উপজেলায় ফোরের মুখ নামক এলাকায়। ২২ মার্চ শুক্রবার রাঙ্গামাটি সদর থেকে লংগদু ও বাঘাইছড়ির শতাধিক যাত্রী নিয়ে দুপুর আড়াইটায় ছেড়ে আসা লঞ্চ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ইফতারের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ডুবোচরে আটকে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা করার পরেও লঞ্চটি ডুবোচরে আটকে থাকায় যাত্রীদের মনে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে।

এদিকে নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও ইফতার জোটেনি যাত্রীদের। লঞ্চে ছোট একটি ক্যান্টিন থাকলেও সেখানে চা পানি বিক্রি হয়েছে বর্ধিত মূল্যে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামে, শিশু ও নারীসহ শতাধিক যাত্রীদের চোখে মুখে নেমে আসে অজানা আশঙ্কা ও আতংক।

উপায়ান্তর না পেয়ে লঞ্চের চালক অন্য একটি লঞ্চের সহযোগিতা চাইলে উদ্ধারকারী লঞ্চ রাত দশটার দিকে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। ঘণ্টাব্যাপী প্রচেষ্টার পর রাত এগারোটায় যাত্রীদের নিয়ে মাইনীমুখ লঞ্চঘাটে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। তারপরও উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার যেন শেষ নাই, অনেক যাত্রীর বাড়ি মাইনী লঞ্চঘাট থেকে আরও ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে। প্রায় মধ্যরাতে বাড়ি যেতে কারো প্রয়োজন মোটর বাইক, কারও প্রয়োজন ইঞ্জিন চালিত নৌকা। এই রাতে আর বাড়ি ফিরতে পারবে না বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন যাত্রী। নিরাপদে রাত্রিযাপন ও সেহরির অনিশ্চয়তা আতঙ্কিত তারা।

মোহাম্মদ সুজন (৪০) নামের এক যুবক এই লঞ্চের যাত্রী ছিলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে লেকের নাব্য সংকটের কারণে প্রায়ই এ রকম হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। অথচ, প্রশাসন নির্বিকার। উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি তাদের। জেলা সদরের সাথে লংগদু এবং বাঘাইছড়িবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই নৌপথ। প্রায় প্রতি বছরই পলি জমে লেকের তলায় সৃষ্টি হয়েছে অনেক ডুবোচর। ফলে যাতায়াত অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই নৌপথ। দ্রুতই ড্রেজিং করা না হলে কিংবা বিকল্প সড়ক যোগাযোগ চালু করা না হলে বিচ্ছিন্নই থাকতে হবে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসীকে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন