ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৫

fec-image

এডিস মশাবহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে দেশে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে এ রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন যেসব রোগী হাসপাতালে গেছেন, তাদের মধ্যে ১১ জন ভর্তি হয়েছেন ঢাকা মহানগরে, বাকি ১৪ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকার বাইরে। এ সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪ জন। সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম ১২ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৩২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ২৩৭ জন এবং বাকি ২৯৫ জন ঢাকার বাইরে ভর্তি হন।

শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ২৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ১২২ জন ঢাকায় এবং ১২৭ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

সবশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তি ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি একজনের প্রাণ কেড়েছিল এডিস মশাবাহিত রোগটি। সব মিলিয়ে এ বছর পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

গত বছর মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন, যাদের মধ্যে ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। এত মৃত্যু ও আক্রান্ত এর আগে কোনো বছর দেখেনি বাংলাদেশ।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রথমবার এক লাখ ছাড়ায় ২০১৯ সালে; সে বছর ভর্তি হতে হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জনকে। তার দুই বছর বাদে ২০২২ সালে ডেঙ্গু কেড়েছিল ২৮১ জনের প্রাণ; সেটিই ছিল গত বছর পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা।

উষ্ণ আবহাওয়ায় ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটে বেশি। তবে শীতেও দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছে না। ২০২২ সালে শীত মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ থাকলেও রোগটির এত বিস্তৃতি দেখা যায়নি। ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন। তবে গত বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

গত শতাব্দীর ষাটের দশকে এ দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। এরপর ২০০০ সালে প্রথম বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ডেঙ্গু ছিল মূলত ঢাকা শহরকেন্দ্রিক। এরপর প্রতিবছর কমবেশি ডেঙ্গুর সংক্রমণ দেখা দিতে থাকে। তবে ডেঙ্গু বড় বড় শহরেই সীমাবদ্ধ ছিল। ২০১৯ সালে বড় বড় শহরের পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামেও ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন