তিনদিনের ছুটিতেও বান্দরবানে আশানুরূপ আসেনি পর্যটক

fec-image

পাহাড়ীয়া সবুজের বুকে মেঘের মিতালী বেঁধে ছেয়ে গেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবান। ছোট-বড় পাহাড় ও ঝিড়িঝর্ণাগুলো এখন প্রানবন্তকর। পানির তৈতুং শব্দের জলরাশি ধারা বয়ে গেছে ঝর্ণাগুলোতে। তাছাড়া পাহাড়ের সাথে মেঘের খেলা। এমন দৃশ্য যেন দেখা মিলে প্রাকৃতিক সবুজে ঘেরা নৈসর্গিক সৌন্দর্য লীলাভূমি পার্বত্যঞ্চল বান্দরবানে। কিন্তু এবার টানা তিনদিন ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটকের আশায় থাকলেও তেমন পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেনি বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

পর্যটন দিবসে পর্যটকদের জন্য ছাড় দেওয়া হলেও কাজে আসেনি সেসব সুযোগ সুবিধা । হোটেল মোটেল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের আনাগোনা ছিল প্রতিদিনের মতন। টানা ছুটিতেও পর্যটন নগরীতে পর্যটক না আসায় নামতে শুরু করেছে “পর্যটন শিল্পের কালো ছায়া”।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, পর্যটন দিবসে বিশেষভাবে ছাড়সহ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের প্রতি। কিন্তু সেসব সুযোগ সুবিধা কোন কাজেই আসেনি। টানা তিনদিন ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পরিবর্তন আসেনি। তাছাড়া পর্যটন দিবসে হোটেল-মোটেল কিছুটা বুকিং হলেও শুক্রবার ছিল পর্যটকদের আনাগোনা ৬০ শতাংশ। শনিবার দিনের সেই আগের চিত্রে ফিরে গেছে। ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছিল সেসব পুষিয়ে নেওয়া দুরের কথা ধারের কাযেও আসেনি। এভাবে যদি খারাপ পরিস্থিতি হতে থাকে তাহলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নাই।

নীলাচলে ঘুরতে আসা তমা, রাফি ও আফতার জানান, নীলাচল শহরে কাছে হওয়াতেই দেখতে পাই। কিন্তু তাদের পছন্দ রোয়াংছড়ি, বগালেক ও থানচি দুর্গম এলাকাগুলো। এসব জায়গায় ভ্রমন করতে পারলে আমরা স্বার্থক। তাছাড়া আগের মতন বান্দরবানের তেমন আর জমে উঠে নাহ। সেই একই স্থানে কতটুকু ঘোরা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরবর্তী পর্যটন কেন্দ্র মেঘলা ,নীলাচল, প্রান্তি লেক, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক পাহাড় ও নীলগিরিসহ সেসব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল সীমিত। তবে নিলাচল ও মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রতে স্বাভাবিকভাবে দেখা গেছে পর্যটক। পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধব নিয়ে আসলেও অনেকে নিলাচলে ঘুরে ফিরে গেছেন।

মাইক্রোবাস ও চান্দের গাড়ি লাইনম্যান কামাল উদ্দিন জানান, টানা তিনদিন ছুটিতে পর্যটকদের তেমন আনাগোনান ছিলনা। তবে শুক্রবার পর্যটক ছিল স্বাভাবিক। শুক্রবার ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে ছেড়ে গেছে ১৩৪ টি চান্দের গাড়ি। আজকে মাত্র ছেড়ে গেছে ৬৪টি গাড়ি। আবার আগের চিত্রে ফিরে এসেছে।

বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবারে তেমন পর্যটক আসেনি। শুক্রবারে ৬০ শতাংশের মতন হোটেল বুকিং হয়েছে। আজকে আবার সেই পুরানো চিত্র। যে জেলায় সারাবছর পর্যটক আনাগোনা শেষ হয় না কিন্তু এখন সেটি কমে গেছে।

বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে পড়া পুলিশ রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন