তিন মাস ধরে নিখোঁজ সেই মাদ্রাসা ছাত্র মিজান অবশেষে উদ্ধার

pic mizan

পেকুয়া প্রতিনিধি:
তিন মাস ধরে নিখোঁজ পেকুয়ার সেই মাদ্রাসা ছাত্র মিজানকে অবশেষে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত ২১ জানুয়ারী বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিখোঁজ মিজানের ছবিসহ পেকুয়ায় ৩ মাস ধরে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র মিজানের সন্ধান মেলেনি। ফলে পরিবারে চলছে চরম উৎকন্ঠা শিরোনামে  সংবাদ প্রকাশিত হলে পুরো কক্সবাজার প্রশাসনের টনক নড়ে। শুরু হয় কক্সবাজার জুড়ে উদ্ধার তৎপরতা। সংবাদ প্রকাশের ২য় দিন ২২ জানুয়ারী দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া থানার এএসআই নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে কক্সবাজারের ঝিলংজা এলাকার পৌরসভা মার্কেটের ২য় তলার খাঁজা হোটেলে বয়ের কাজ করা অবস্থায় ৩ মাস ধরে নিখোঁজ সেই মাদ্রাসা ছাত্র মিজানকে উদ্ধার করে।

সে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকার ফজলুল করিমের পুত্র। সূত্রে জানায় উদ্ধারকৃত মাদ্রাসা ছাত্র মিজান বেশ কিছুদিন ধরে ওই খাবার হোটেলের বয়ের কাজ করছিল। ২৩ জানুয়ারী পেকুয়া থানার পুলিশ উদ্ধারকৃত সেই মাদ্রাসা ছাত্র মিজানকে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রষ্ট আদালতে সৌর্পদ করে। পরে আদালতে মাদ্রাসা ছাত্র মিজানের নিখোঁজের জবাবমন্দী নিয়ে বাবা মার হাতে তুলে আদালত। ৩ মাস পর নিখোঁজ ছেলে কে পেয়ে বাবা মা আত্মহারা হয়ে যায়।

জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর সকাল ৮ টায় উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকার ফজলুল করিমের পুত্র ও পেকুয়া আশরাফুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ মিজান(১০) ওই দিন মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ছিল। মাদ্রাসা ছুটি হয়ে গেলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত সে আর বাড়িতে না ফিরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোজি শুরু করেছিলেন মা-বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরা। খোঁজ না পাওয়ায় ছেলের সন্ধ্যানের জন্য থানা পুলিশের আশ্রয় ও নিয়েছিল। পরে পুলিশও খোঁজা শুরু করেন।

কিন্তু দীর্ঘ তিন মাস অতিবাহিত হলেও তাদের আদরের ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় মুহ্যমান মা বাবা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। সারা দিন পাগলের মত এ দিক ওদিক ছোটাছুটি করেছিল ছেলের সন্ধ্যানে। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারী নিখোঁজ হওয়ার ৩ মাস পূর্ণ হলেও মাদ্রাসা ছাত্র মিজান নিখোঁজ ছিল। ৩ মাস ধরে ছেলের সন্ধ্যান পায়নি মা বাবা। ৩ মাস পূর্ণ হলে ছেলে খোজ পাওয়ার আশা ছেড়েনি মা বাবা। অবশেষে মা বাবার সেই বুকভরা আশা পূর্ণ হল ৩ মাস পর তাদের আদরের ছেলে মিজানকে খোঁজে পেল।

এদিকে মাদ্রাসা ছাত্র মিজানের পিতা ফজলুল করিম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন গণমাধ্যমে আমার ছেলের ছবি সহ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল বলে আমি আমার আদরের ছেলেকে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় খোঁজে পেয়েছি। তাই গণমাধ্যম ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আমার পরিবার কৃর্তজ্ঞ।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার মাদ্রাসা ছাত্র মিজানের উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান থানা পুলিশ গোপন সংবাদ পেয়ে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে ছেলেটির পিতামাতার কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন