নদী দখলের অভিযোগে আ’লীগের ইউপি প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা

fec-image

নদী দখলের অভিযোগে অভিযুক্ত সদ্যঘোষিত তফসিলে অনুষ্ঠিতব্য মহেশখালীর শাপলাপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল খালেকের প্রার্থীতা স্থগিত করে উচ্চ আদালত অযোগ্য ঘোষণা করেছে।

নদী দখল সংক্রান্তে পূর্বে ঘোষিত উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করায় নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে আবদুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে শাপলাপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নূরুল হক কর্তৃক দায়েরকৃত রীট পিটিশনের শুনানি শেষে উচ্চ আদালতের এনেক্স কোট ২১-এর বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার বদিউজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় এ রায় দেন।

ঢাকায় অবস্থানরত রীট পিটিশনের বাদী শাপলাপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল হক তার পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিক কর্তৃক সংবাদ মাধ্যমে দেয়া বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রীটকারি নুরুল হক চেয়ারম্যান জানান, তালিকাভুক্ত নদী দখলকারীদের ইতিমধ্যে সব ধরণের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত। আবদুল খালেকও একজন তালিকাভুক্ত নদী দখলকারী।

কক্সবাজার সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে প্রণয়ন করা নদী দখলকারীর তালিকায় দুই দফায় যথাক্রমে ২৬ ও ৩১ নং ক্রমিকে তার নাম রয়েছে।

তারপরও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শাপলাপুরের নির্বাচনে তাকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এতে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করায় নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবদুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য রীট পিটিশন দায়ের করেন তিনি।

এ রীট মামলায় বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার বদিউজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ আজ ২৭ নভেম্বর শুনানি করেন। শুনানিতে তালিকাভুক্ত নদী দখলকারী হওয়ায় আবদুল খালেককে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ডিসেম্বর শাপলাপুর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইতিমধ্যে গত ২৫ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

এতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বৈধ প্রার্থী ঘোষিত সাবেক তিনবারের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী, বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুল হক ও আলোচিত প্রার্থী সালাহ উদ্দীন কমলসহ ১৬ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, নির্বাচন কমিশন, নৌকা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন