নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি গাছ কাঠুরিয়া আহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ৪৪ নম্বর পিলারের টু-এসের জামছড়ির সাপমারাঝিরি এলাকায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে অবৈধ পথের এক গাছ কাঠুরিয়ার।
সোমবার(২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে (মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত ) সে পার্শববর্তী ককসবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । তার নাম আনোয়ার হোসেনের (৩০)। তার পিতার নাম এ পর্যন্ত জানা যায় নি। তবে তার বাড়ি আলিকদম উপজেলায়। সে সীমান্ত সড়ক নির্মান কাজের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে নাইক্ষ্যংছড়ি আসে বলে জানা যায়
এ সময় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন অতি নিকটে বসবাসরত নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ছাবের আহমদ।
তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,সীমান্ত সড়কের কাজ ছেড়ে দিয়ে সে জিরো পয়েন্ট থেকে গাছ কাটতে গেলে এ দূর্ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তার বাম পায়ে মারাত্মক জখম হয়েছে। এ ধরণের আঘাত হলে পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা শতভাগ বলে মন্তব্য তার।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলাদেশ- মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমানায় দীর্ঘদিন ধরে স্থলমাইন বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে আসছে। যা বসিয়ে রেখেছে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা। যদিও এ সীমানায় এখন তারা নেই। তবুও বছর আগে বসানো সে স্থলমাইন এখন অনেকের পা আবার অনেকের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।
বিশেষ করে সীমান্ত আইন অবজ্ঞা করে যারা মিয়ানমার অংশে বা জিরো লাইনে যান তাদেরই এই দশা হচ্ছে বারবার। আনোয়ার হোসেনও তাদের একজন। সে স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ীর শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। যার অবস্থান ছিলো জিরো পয়েন্টে। আর সেই কারণেই কোন সরকারি দায়িত্বশীলেরা এসব বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হন না বা বক্তব্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এছাড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে, মাইনে আহতের এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, তার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তবে ককসবাজারের চিকিৎসকরা তার পা কাটাসহ আরো উন্নত চিকিৎসা নিতে চট্টগ্রামে নিয়ে যেতে বলছেন আহত আনোয়ার হোসেনকে। আর্থিক সংকটের কারণে তারা তা পারছেন না।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছেন তবে আহত ব্যক্তি তার এলাকার নন। তাই তিনি ওয়াকিবহাল নন।