নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে শূন্যরেখা থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মানবেতর জীবনযাপন

fec-image

আরাকান সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার অভাবে দাতা সংস্থাগুলো বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ২নং ওয়ার্ডের কোনারপাড়া শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত কয়েকদিন ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল।

যার ফলে ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রেহিঙ্গারা মানবতার জীবন যাপন করছিল। গত ২ দিন যাবৎ পরিস্থিতি শান্ত থাকায় আবারও ত্রাণ বিতরণ শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে রোহিঙ্গাদের মাঝে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সি আর সি (International Committee of Red Cross) কর্তৃক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩৪ বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ তুমব্রু কোনারপাড়ায় শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের শুকনো খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহায়তা প্রদান এই রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার সশস্ত্র গ্রুপ RSO ও ARSA গ্রুপের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষে ও অগ্নিকাণ্ডের ফলে হাজার হাজার বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার বিভিন্ন জায়গাতে বিচ্ছিন্নভাবে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তীব্র শীতের মাঝে খোলা আকাশের নিচে অসহায় মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহায়তা প্রদান করে।

দাতা সংস্থার দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, প্রতি পরিবারকে ২ লিটার পানি ও শুকনো খাবার ৫শ গ্রাম , চিনি ৪ কেজি, চিড়া ৫ প্যাকেট, বিস্কুট ২ প্যাকেট, Compact Emergency Food বিতরণ করা হচ্ছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, স্থানীয় লোকজনও সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের এমন দুঃসময়ের মাঝে সামান্য হলেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ এর স্ত্রী আরেফা বেগম জানান, বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত, গোলাগুলি বন্ধ থাকলে ও এখনো আতঙ্ক কাটেনি তাদের মাঝে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা জানান, তিনি সীমান্তের বিষয়ে সার্বক্ষণিক স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খোঁজখবর নিচ্ছেন। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার, রোহিঙ্গা, সীমান্ত উত্তেজনা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন