নিরাপত্তার হুমকি ভৌগোলিক সীমায় আটকে থাকছে না -জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া

fec-image
PAMAS - 03
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
‘এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নব দৃষ্টি : স্থল বাহিনীর সুযোগ ও সম্ভাবনা’- এই মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে উদ্বোধন হলো ৩৮তম প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেনা ব্যবস্থাপনা সেমিনার প্যামস-৩৮।
সেমিনারে সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা পর্যন্ত অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার জন্য এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থলবাহিনীগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেনা কমান্ডার জেনারেল ভিনসেন্ট কে ব্রুকস্ তাদের উদ্বোধনী স্বাগত ভাষণে এ আহ্বান জানান।
পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিকে সামনে রেখে সেনা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক চার দিনব্যাপী এ সেমিনারে অংশ নিতে ঢাকায় জড়ো হয়েছেন এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৪টি দেশের শতাধিক ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইউএস আর্মি প্যাসিফিক এর যৌথ আয়োজন প্যামস-৩৮ সেমিনার থেকে এই অঞ্চলে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, প্যামস শুরুর পর থেকে এই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়েছে। জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী জাতিরাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়টিতে বিস্ময়কর পরিবর্তন এসেছে। আমরা এখন এমন ধরনের হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি, যা ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে আটকে থাকছে না। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নতুন নতুন হুমকি আসছে। কোনো দেশেরই এককভাবে এসব হুমকি মোকাবেলার সামর্থ্য নেই। বৈশ্বিক পর্যায়ে কোনো সংকট দেখা দিলে তা এককভাবে মোকাবেলার বাইরে চলে যায়। তখনই দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজন পড়ে।
আন্তঃজাতীয় অপরাধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খনিজ সম্পদ গ্রাসসহ অনেক অপ্রথাগত নিরাপত্তা হুমকি সেমিনারে আলোচনায় আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। কোন কোন সমস্যার ক্ষেত্রে সিভিল-মিলিটারীর ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের প্রয়োজন রয়েছে।
জেনারেল ভিনসেন্ট ব্রুকস তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিকে ভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭ ভাগ। বাকিটা বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চল। এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিটি দেশের দায়িত্ব রয়েছে এবং আমাদের মধ্যে অংশীদারিত্ব দরকার, যাতে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করা যায়। এসময় তিনি দু’দেশের সেনাবাহিনীর বন্ধন শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনাকে ধন্যবাদ জানান। একই সাথে এ ধরনের আয়োজনে সহযোগী ভূমিকা পালনের জন্য সিজিএস লে. জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানান।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ভিনসেন্ট ব্রুকস বলেন, অভিন্ন যেসব সমস্যা আমাদের সবার মোকাবেলা করতে হয় সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। তার মতে, এ অঞ্চলের সব দেশের চারটি অভিন্ন হুমকি মোকাবেলা করতে হয়। এগুলো হলো- আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রপন্থা, সাইবার অপরাধ, সংক্রামক ব্যাধি এবং পরিবেশগত পরিবর্তন।
সেমিনারে আনুষ্ঠানিক বিভিন্ন আয়োজনের বাইরে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ‘ভাবনা বিনিময়ের এক অনন্য’ সুযোগ করে দেবে। একে অপরকে ‘পেশাগত ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে ভালোভাবে চেনা-জানার’ সুযোগ নিতে অংশগ্রহণকারী সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল সেমিনারের প্রথম পর্বের পর সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মাইনুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেনা কমান্ডার জেনারেল ভিনসেন্ট কে ব্রুকস।
এসময় লে. জেনারেল মাইনুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের জন্যসংখ্যার ৫০ ভাগেরই বাস এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। এখানকার অর্থনীতিও বৃহৎ। গণতন্ত্রও বড়। বিশ্বের ১০টি বৃহৎ বন্দরের ৯টিই এ অঞ্চলে অবস্থিত। যার ফলে যে কোন সমস্যার মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ খুবই কার্যকরী।
আল কায়েদার সাম্প্র্রতিক হুমকি এবং সাইবার ক্রাইম বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবারের সেমিনারের প্রতিপাদ্য ‘এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নব দৃষ্টি’ এর মধ্যেই সব কিছু আলোচনা হবে। আর সাইবার ক্রাইমের বিশাল জগত রয়েছে। এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সত্যিই কঠিন। কারণ, কোথা থেকে অপরাধ করা হচ্ছে, তা শনাক্ত করা কঠিন। তাই সকলের সহযোগিতা আবশ্যক।
জেনারেল ভিনসেন্ট ব্রুকস বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা দেশ নেই। এর কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখাও নেই। সন্ত্রাস দমনে সবার ঐক্য প্রয়োজন এমন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সেনাবাহিনী এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। এ সেমিনার পারস্পরিক সহযোগিতার বিশাল দিগন্ত উন্মোচিত হবে। তবে আমি আশাবাদী। জেনারেল করিমের দূরদর্শী নেতৃত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এই সেমিনার সহযোগিতার বিশাল দিগন্ত উন্মোচিত করবে।
চার দিনের এই সেমিনারে এই অঞ্চলের পররাষ্ট্র নীতি বিশ্লেষক, সামরিক বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র কূটনীতিকরা আলোচনায় অংশ নেবেন এবং বিভিন্ন উপস্থাপনা তুলে ধরবেন। থাকবে ক্ষুদ্র গ্রুপভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও। সেমিনারে সহযোগিতার চর্চা, অপ্রচলিত নিরাপত্তাজনিত অভ্যন্তরীণ কর্মসূচি উন্নয়ন, প্রচলিত ও অপ্রচলিত হুমকি মোকাবেলায় ভারসাম্য রক্ষায় করণীয় এবং পরিবেশজনিত নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সাড়া দেয়ার দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও ভাবনা বিনিময় করবেন অংশগ্রহণকারী সেনা কর্মকর্তারা।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীগণ যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন সেগুলো হচ্ছে, অপ্রচলিত নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা অনুশীলন, ধারণাসমূহের আন্তঃযোগাযোগ; প্রচলিত ও অপ্রচলিত হুমকি মোকাবেলায় করণীয়; ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতার জন্য অসামরিক-সামরিক ও বহুজাতিক সহযোগিতা এবং পরিবেশগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্থলবাহিনীসমূহের সাড়াদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি। এর মধ্যে একটি সেশন সেনাবাহিনীর জাহাজ শক্তি সমাচারে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
সেমিনারের উদ্বোধনের পর ‘এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নব দৃষ্টি : স্থল বাহিনীর সুযোগ ও সম্ভাবনা’ এই মূল প্রতিপাদ্যের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। আলোচনা করেন, এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ ইন হাওয়াই এর অধ্যাপক ড. ক্রিস্টোফার ড্রেন। সঞ্চালনা করেন ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, কোনো দেশের সঙ্গে অন্য কোনো বিরোধ থাকলে এই প্লাটফর্ম তা প্রশমনে সহায়তা করবে। এই ধরনের সেমিনার একে অপরকে জানার সুযোগ এবং আস্থা তৈরি করে।
অধ্যাপক ক্রিস্টোফার জে স্নেডেনও মনে করেন, একসঙ্গে কাজ করার একটি বড় প্লাটফর্ম এই সেমিনার। বিভিন্ন বিষয় বুঝতে এটা তাদের সহায়তা করবে এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে তারা বিভিন্ন বিষয়ের মীমাংসার পথ পাবে।
সেমিনারের উদ্বোধনী স্বাগত বক্তব্যের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকস সদস্যরা বিভিন্ন রকম কসরত প্রদর্শন করেন। এসময় ব্যান্ড দলও তাদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করে। এছাড়া সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্ত্রী-পরিজনের জন্য পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে বলে সেনাপ্রধান জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের পর বাংলাদেশ এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত প্যামস আয়োজনের সুযোগ পেল। সেবছর বাংলাদেশ এই সেমিনারের আয়োজক হয়েছিল। ওই সেমিনারে ৩৫টি দেশের ১৫০ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে নয়টি দেশ নিয়ে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার এই সেমিনারের যাত্রা শুরু হয়েছিল। প্যামস এর দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য হলো প্রতিপাদ্য বিষয়ে সংলাপ ও তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে সামর্থ্য বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা, পারস্পারিক আস্থা ও সম্মানজনক পরিবেশে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফোরামের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর প্রয়াস এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আঞ্চলিক সহযোগিতা। মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এলাকায় ৩৬টি দেশ এবং বিশ্বের ১০টি বৃহৎ সেনাবাহিনীর ৬টির অবস্থান। বর্তমানে প্যামস ৩৬টি দেশের প্ল্যাটফর্ম।
বর্তমানে প্যামস একটি বহুজাতিক সামরিক সেমিনার যা এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থলবাহিনীর উচ্চতর (লেফটেন্যান্ট কর্নেল থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল বা সমমান) কর্মকর্তাদের ধারণা ও মতাদর্শ বিনিময়ের একটি ফোরাম। কেবল নির্দিষ্ট বিষয়ে বোঝাপড়া বৃদ্ধির ফোরামই নয়, এ অঞ্চলের সেনাবাহিনীসমূহের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ও তা দৃঢ় করার ফোরামও এটি। এবারের প্যামস এ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, কানাডা, চিলি, চীন, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইনস, সিংগাপুর,  টোংগা,  যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভানুয়াতু এবং ভিয়েতনাম।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, ভারত মহাসাগর থেকে আমেরিকার পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম রাজনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এ অঞ্চলের প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগর নৌপরিবহন ও কৌশলের দিক থেকে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার এই অঞ্চলে চীন ও ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশও রয়েছে। বর্তমানে এশিয়া নিয়ে তাদের কৌশল (এশিয়া স্ট্রাটেজি) নতুন করে সাজাতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, আমেরিকার নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি ব্যাপকভাবে এশিয়া প্যাসিফিকের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং তা ক্রমশ বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অংশীদার জাপানও নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগর নিয়ে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। উদীয়মান শক্তি চীন পুরো অঞ্চলকে একই যোগাযোগের আওতায় আনতে তার সিল্ক রুট ও মেরিটাইম সিল্ক রোড বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছে। পরিবর্তনশীল বিশ্ব পরিস্থিতিতে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেনা ব্যবস্থাপনা সেমিনার প্যামস এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতায় ভূমিকা পালন করবে।
Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন