পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাঙামাটিতে কারফিউ বলবৎ থাকবে
স্টাফ রিপোর্টার:
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে রোববার সন্ধ্যা ৭ থেকে সোমবার সকাল ৮ পর্যন্ত জারী করা কারফিউ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে রোববার রাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া নিরীহ জনগণ ও পর্যটকরা যাতে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে ফিরে যেতে পারে সেজন্য সোমবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১ পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। জেলার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোতে খোঁজ নিয়ে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএসের যুব ফ্রন্টের আজ থেকে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন রাঙামাটি শহরে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলা থেকে ৬ সহস্রাধিক সমর্থক রাঙামাটি শহরে সমবেত হয়। ফলে তাদের শক্তি বৃদ্ধি ঘটে। যাতে করে তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সাহস দেয়ায়। তবে সম্মেলনটি কারফিউয়ের কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, জেএসএস নেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য স্থানীয় প্রশাসনকে এই মর্মে অনুরোধ করেন যে, সম্মেলন উপলক্ষে শহরে আগত জেএসএস ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যাতে শহর ছেড়ে যেতে পারে তার জন্য কারফিউ শিথিল করা হোক।
এমপি’র অনুরোধ ও কারফিউয়ের সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া নিরীহ জনগণ ও পর্যটকরা যাতে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে ফিরে যেতে পারে সেজন্য সোমবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১ পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। সকাল ১১ টার পর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শহরে কারফিউ বলবৎ থাকবে। এসময় শহরবাসীকে বাড়ীতে অবস্থান এবং বাইরে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কমকর্তারা দাঙ্গা প্রবণ এলাকাগুলো ঘরে ঘুরে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন। এছাড়াও সোমবার সকালেই রাঙামাটি শহর পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের রিজিওনাল কমান্ডার মেজর জেনারেল সাব্বির আহমেদ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করছিলেন।