পানছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মে দিবস পালিত

1 may-15 PIC copy
পানছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মে দিবস’১৫। “শ্রমিক মালিক ঐক্য গড়ি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি” এ প্রতিপাদ্যের ব্যানারে পানছড়ি উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা শ্রমিক লীগ ও উপজেলা লোড-আনলোড সমবায় সমিতি গ্রহণ করেছিল নানা কর্মসূচী।

শুক্রবার সকাল নয়টায় উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: বাহার মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাথ দেবের নেতৃত্বে একটি র‌্যালী উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ও র‌্যালী পরবর্তী এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা রিসোর্স কর্মকর্তা মো: খলিলুর রহমান জাহিদের সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আ: জব্বার ও সকল বিভাগীয় প্রধানগণ। আলোচনায় মে দিবসের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রত্ন কান্তি রোয়াজা।

এদিকে, শ্রমিক লীগ সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে কয়েকজন শ্রমিকের গায়ে মহান মে দিবস, বিশ্ব শ্রম দিবস ইত্যাদি লেখা র‌্যালী ও লোড-আনলোড সমবায় সমিতির সভাপতি মো: শাহআলম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার নেতৃত্বে প্রাণবন্ত র‌্যালী  দিনটিকে আরো শোভাবর্ধন করে তোলে।

উল্লেখ্য, এই দিনটি খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে রক্তঝরা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টির দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে দীর্ঘ বঞ্চনা ও নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেতে বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়েছিল শ্রমিকরা। আট ঘণ্টা কাজের দাবীতে যুক্তরাষ্ট্রের সব শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা দিয়েছিল ধর্মঘটের ডাক। আর সে ডাকে শিকাগো শহরে তিন লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ থেকে বিরত থাকেন। লাখো লাখো শ্রমিকের বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে দশ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে।

অবশেষে তীব্র আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবী মেনে নেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগোর রক্তঝরা অর্জনকে স্বীকৃতি স্মারক হিসাবে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। অতপর: ১৮৯০ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিবসটিকে মে দিবস হিসাবে পালন করতে শুরু করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন