পাহাড়ে কাঁকন ধানের আবাদ
স্টাফ রিপোর্টার :
বান্দরবানে পাহাড়ে ব্যাপক কাঁকন ধানের চাষ হয়েছে। জুম চাষে অন্যান্য ধানের পাশাপাশি সাথী ফসল ফসল হিসেবে কাঁকন ধানের চাষ করা হয়েছে। এবারে জুমে কাঁকন ধানের ফলনও বেশি ভাল হয়েছে। ব্যতিক্রমধর্মী এ কাঁকন ধানের চাল ভাতের মতো খেতে সুস্বাদু এবং রকমারি নাশতা ও পিঠা তৈরি করা যায়।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে জুম ধানের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে কাঁকন ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। জুম ধানের চেয়ে বেশি চাহিদা এবং অর্থকরী পণ্য হিসেবে কাঁকন ধানের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলছে।
জেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দুরে চড়ুই পাড়ায় জুমচাষি শিরমনি তঞ্চগ্যা বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও জুমচাষে অন্যান্য ধানের পাশাপাশি কাঁকন ধানের চাষ করেছেন এবং ফলনও ভাল হয়েছে। একই এলাকার জুম চাষি অনেকেই তার মাত কাঁকন ধানের চাষ করেছেন।
রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়া, তারাছা, তালুকদার পাড়া, ঘেরাউ এলাকায় জুমিয়ারাও পাহাড়ে জুম ধানের সাথে কাঁকন ধানের আবাদ করেছেন। জুম চাষিরা পাহাড়ে একক ভাবে কাঁকন ধানের আবাদ না করলেও সাথী ফসল হিসেবে কাঁকন ধানের চাষ করে থাকেন।
প্রতি বছরই জুম চাষের পরিধি বাড়ছে এবং সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থকরী পণ্য কাঁকন ধানের। জুমে উৎপাদিত চাল প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও কাঁকন চাল প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। আর্থিক ভবে লাভ জনক হওয়ায় চাষিরা কাঁকন ধানের উৎপাদ বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।