পেকুয়ার ভোলা খালে অবাধে চলছে চিংড়ি পোনা নিধন
এ.এম.জুবাইদ,পেকুয়া:
পেকুয়ার ভোলা খালে চিংড়ি পোনা নিধন চলছে। জানা যায় বেশ কিছুদিন ধরে বারবাকিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু অসাধু পোনা ব্যবসায়ীরা খালে বড় বড় কারেন্ট জাল বসিয়ে ছোট ছোট চিংড়ির পোনা নিধন করছে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালে বড় বড় কারেন্ট জাল বসিয়েছে। এতে ওই খালে গলদা বাগদা চিংড়ির পোনা রয়েছে। এসব পোনা নিধন করে উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য প্রজেক্টে বিক্রয় করে প্রচুর টাকা উপার্জন করে যাচ্ছে। এ অসাধু পোনা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এ অসাধু পোনা ব্যবসায়ীরা খালে জাল বসিয়ে চিংড়ি পোনার সাথে অন্য অন্য মাছের পোনা নষ্ট করে দিচ্ছে। খালে মাছের পোনা নিধন বন্ধ করা না হলে দিন দিন খালে মাছের শূণ্যতা দেখা দিবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা খাল থেকে জাল দিয়ে পোনা ধরে বড় বড় ড্রাম ভর্তি করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। আর এদিকে এসব কিছু জেনেও রহস্যজনক কারণে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর চোখ বন্ধ হয়ে আছে। এদিকে অভিযোগ উঠছে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন, বারবাকিয়া ও শিলখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন লোক ভোলাখালে জাল বসিয়ে ছোট ছোট মাছের পোনা নিধন করছে।
সূত্রে জানা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সাবেকগুলদী টেকপাড়া এলাকায় মাহাত হাসেম, ওসমান, শীলখালী কাচারীমোরা এলাকার নুরুজ্জামানের পুত্র আলমগীর, ছৈয়দ নুর, আব্দু রহিম, রুহুল কাদের, নাজেম উদ্দিন, কাদের, জসিম সহ বেশ কয়েকজন লোক প্রতিদিন ভোলা খালে কারেন্ট জাল বসিয়ে চিংড়ি পোনা নিধন করছে।
এসব কিছু পেনা নিধনকারীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন, এখনও পোনা ধরা নিষেধ নেই। এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পোনা নিধনের বিষয়ে শুনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রষ্ট নিয়ে অভিযান চালানো হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শওকত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। পোনা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
One Reply to “পেকুয়ার ভোলা খালে অবাধে চলছে চিংড়ি পোনা নিধন”