পেকুয়ায় এক বাল্য বিবাহ ভেঙ্গে দেওয়ার ৮ দিন পর গোপনে বিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পেকুয়ায় এক বাল্য বিবাহ ভেঙ্গে দেওয়ার ৮ দিন পর গোপনে বিয়ে করে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে নববধূ করে ঘরে তোলার খবর পাওয়া গেছে।
কনের পিতা ও বরের পিতা উভয় পক্ষ বাল্য বিবাহ না করার জন্য প্রশাসনকে মুছ লেখা দিয়েও তা অমান্য করে বাল্য বিবাহ আইন কে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে গোপনে আকদ সেরে নববধূ হয়ে ঘরে উঠে অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সাদিয়া সোলতানা(১৪)।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পেকুয়া বাজারস্থ শিশু নিকেতন আবাসিক এলাকার আকতার আহম্মদের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে এবং কৈয়ারবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী সাদিয়া সোলতানা (১৪) কে একই ইউনিয়নের নুন্নমুন্ন্যা এলাকার ফজল করিমের পুত্র প্রবাসী ফয়সালের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য সব আয়োজন শেষে ২১ সেপ্টেম্বর বিয়ের দিন ঠিক করে উভয় পক্ষের লোকজন।
যাবতীয় আয়োজন শেষে ২১ সেপ্টেম্বর বিয়ের দিন বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শওকত হোসেন বিয়ের অনুষ্ঠানে গ্রাম পুলিশ পাঠানোর নির্দেশ দেন স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহকে। গ্রাম পুলিশ গিয়ে বিয়ে বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেয়। পরে কনে এবং বরের অভিভাবকদেরকে মহিলা অধিদপ্তরে নিয়ে আসে।
বাল্য বিবাহ দিবে না বলে মেয়ের পিতা আকতার আহম্মদ এবং বাল্য বিবাহ করাবে না বলে বরের পিতা ফজল করিম মুছলেখা দিয়ে ছাড়া পায়। এদিকে কনের বাড়ি ও বরের বাড়িতে সব আয়োজন পন্ড হয়ে যায়।