পেকুয়ায় এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলো চক্র, আটক ৩

fec-image

পেকুয়ার টইটং এর বশির আহমেদ (৪২) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রসহ আটক করে থানা পুলিশের এসআই মুফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গী ফোর্স। এসময় উদ্ধার করা হয় ১টি দেশীয় তৈরি এলজি, ২টি কার্তুজ। পরে জনতার রোষানলে পড়ে আটককারী পেকুয়া থানার পুলিশ। দীর্ঘ ৬ ঘন্টা পর আসামিকে চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৭টায় উপজেলার টইটং হাজীর বাজারের উত্তরকূলে ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে। সে হিরাবুনিয়া পাড়া ৮নং ওয়ার্ডের মৃত ছাবের আহমদের ছেলে ও ভাঙ্গারি দোকান ব্যবসায়ী।

স্থানীয়রা জানান, ব্যবসায়ী বশির আহমেদ(৪২) এর সাথে দীর্ঘ দিনের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই ইউনিয়নের পন্ডিত পাড়ার বাদশা মিয়ার। এরই জের ধরে ঘটনার দিন পুলিশকে ম্যানেজ করে বাদশাকে অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওই ব্যবসায়ী বাদশার ভাঙ্গারি দোকানের একটি বক্সের নিচে ১টি দেশীয় তৈরি এলজি, ২টি কার্তুজ রেখে আসে পন্ডিত পাড়ার ফয়েজ আহমেদের ছেলে ফরহাদ। পরে পেকুয়া থানার এসআই মুফিজুল ইসলামকে বিষয়টি জানায়। পেকুয়া থানার এসআই মুফিজুল ইসলাম এসে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে ও ব্যবসায়ী বশির আহমেদকে আটক করে। পরে জনতার রোষানলে পড়ে আটককারী পেকুয়া থানার পুলিশ। বাজারের সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা পর আসামিকে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ সদস্যরা।

থানা সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ ওমর হায়দার মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় মো. মফিজুল ইসলাম, সঙ্গীয় অফিসার এসআই (নি.) নাজমুল হক, এসআই(নি.) হেশাম উদ্দিন মো. জুনাইদ, এএসআই (নি.) অর্পন সেন, এএসআই (নি.) জসিম উদ্দিন এবং কং/১৬৭৬ সুজাদ শেখ, কং/৯১২ মাসুম বিল্লাহ, কং/১৬৭৮ রবিউল্লাহ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালান করে রাতেই ঘটনার পরিকল্পনাকারী চক্রের সদস্য টইটং ইউনিয়নের পন্ডিত পাড়া ২নং ওয়ার্ডের ফয়েজ আহমেদের ছেলে ফরহাদ, নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাকের ও হাজীর পাড়া এলাকার মৃত সামশুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছকে আটক করেন। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বাদশা মিয়ার প্ররোচনায় আটককৃত আসামিগণসহ পলাতক আসামিগণের সহায়তায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ ক্রয় করে ভিকটিম বশির আহমদ(৪২)-কে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য নিয়ে আসেন বলে স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় এসআই মো. মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ধৃত আসামিসহ পরিকল্পনাকারী বাদশা মিয়াকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে আটক করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে আটককৃত আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন