পেকুয়ায় গভীর রাতে গুলির শব্দে প্রকম্পিত টইটংয়ের পাহাড়ি লোকালয় জনমনে আতংক

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া :
পেকুয়ার টইটংয়ের পাহাড়ি লোকালয়ে গভীর রাতে গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ জুন সোমবার রাত আনুমানিক দেড়টায় উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা পূর্ব পাড়া এলাকায়।

এনিয়ে এলাকার জনমনে ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতংক। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে ওই গ্রামে ১৫/২০জনের একদল বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ডাকাতদল পাহাড়ী এলাকায় হানা দেয়। এসময় পর পর কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গলির বিস্ফোরন ঘটায় অস্ত্রধারী দূর্বৃত্তরা।

পবিত্র রমজান মাসের মধ্যরাত সেহেরীর সময়ে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দে এলাকার লোকজন ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠে জড়ো হয়ে ঘটনার কারণ স্থল ও জড়িতদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি পেকুয়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনায় জড়িতরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধনিয়াকাটা পূর্বপাড়া এলাকার একাধিক লোকজন এ প্রতিবেদককে জানান একদল স্থানীয় ও বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বারবাকিয়া ইউপি’র মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ বনরাজা জাহাঙ্গীরের চত্রচ্ছায়ায় টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটার গহীন অরন্যে আস্তানা গড়েছে।

তারা সেখানে সংরক্ষিত বনবিভাগের জায়গা জমি জবর দখল, কেনাবেচা বেহাত ছাড়াও বনজ সম্পদ পাঁচার ও নিরব চাঁদাবাজির রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। আর এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে বারবাকিয়া ইউপি’র নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ বনরাজা জাহাঙ্গীরের খোদ পিতা ডাকাইত জাফর ও তার পরিবারের লোকজন।

এনিয়ে বার বার বনবিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অবহিত করলেও ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টরা রহস্যজনক ভুমিকা নেওয়ায় চক্রটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। তাদের উপদ্রবের কারণে এলাকার মানূষের রাতের ঘুম দিনের আয় বন্ধ হয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে জানতে বারবাকিয়া ইউপি’র নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া গুলির শব্দে গ্রকম্পিতের কথা শুনে এলাকাবাসীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন