পেকুয়ায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধুকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে স্বামীর পরিবার। সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায় ওই দিন ওসমান গণির পুত্র মালেশিয়া প্রবাসী মুফিজের স্ত্রী শারমিন আক্তার কলি (১৮) কে তার বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য ঘরের একটি কক্ষে বেধে ওই গৃহ বধূ কে তার শ্বাশুরি ও দেবর ফরহাদ মিলে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এতে ওই গৃহবধূর শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আহত করে।

ওই গৃহবধূর পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে তারা এসে উদ্ধার করে পেকুয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে কর্তব্যরত ডাক্তার মনির উল্লাহ জানান ওই গৃহবধূর শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।

জানা যায় ২০১১ সালে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকার শাহ আলমের মেয়ে শারমিন আক্তার কলির সাথে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার ওসমান গণির পুত্র মুফিজের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সুবাধে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে সন্তান জন্ম লাভ করে। তারপরও স্বামী মুফিজ প্রতিনিয়ত যৌতুকের দাবিতে শারমিন আক্তার কলিকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

এতে সহ্য করে সংসার করলেও স্বামী আরও এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে যৌতুকের টাকা দিতে না পারলে সে আরেকটি বিয়ে করবে বলেও হুমুকি দেয়। শারমিন আক্তার কলি তার দাবিকৃত যৌতুকের টাকা এনে দিতে না পারায় তার স্বামী মুফিজ ৪ বছর আগে শীলখালী ইউনিয়নের জনৈক শিমু নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে। সে বিয়ে করে মালেশিয়া চলে যায়।

কলি জানায়, তার স্বামী মুফিজ মালেশিয়া থেকে মাতা ফাতেমা বেগম ও তার ভাই ফরহাদকে দিয়ে প্রতিনিয়ত শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে মামলা করবে বলেও জানান ওই গৃহবধূর পরিবার।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন