পেকুয়ায় রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে দীর্ঘ মানববন্ধন
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়েছে রাজপথ। প্রকম্পিত হচ্ছে রাজাখালী ও পেকুয়ার রাস্তাঘাট, অলিগলি। রাজাখালী ইউনিয়নের সর্বস্তরের লোকজন ও হাজার হাজার নারী-পুরুষ ঐক্যমত হয়েছেন তার মুক্তির দাবিকে ঘিরে। পেকুয়ায় বাঁধ ভাঙ্গা প্রতিবাদ চলছে ছৈয়দ নুরের মুক্তির দাবিতে।
রাজাখালীবাসীর সাথে সংহতি প্রকাশ করছেন পুরো উপজেলাবাসী। গত তিন দিনে রাজাখালীতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের মুক্তির দাবিতে পেকুয়ায় সর্বোচ্চ প্রতিবাদ চলছে। তাকে আটকের পরদিন রাজাখালীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে ওই কর্মসুচিতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার নারী-পুরুষ। মানববন্ধন শেষে তারা সড়ক প্রদক্ষিন করেছেন।
বুধবার পেকুয়া উপজেলায় মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের মুক্তির দাবিতে তার ইউনিয়ন রাজাখালী থেকে শত শত গাড়ি বহর নিয়ে হাজার নারী-পুরুষ এ কর্মসুচিতে অংশ নেয়। বিকেলে পেকুয়ার প্রশাসনিক প্রান কেন্দ্র কলেজ গেইট চৌমুহনীতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। এবিসি সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত এ মানববন্ধনে সড়কের দু’পাশে লাইনে সারিবদ্ধ হয়েছেন হাজার হাজার নারী-পুরুষ তার প্রতি সর্মথন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন।
কলেজ গেইট চৌরাস্তা থেকে উপজেলা পরিষদের গেইট হয়ে সিকদারপাড়া পর্যন্ত বিশাল মানববন্ধনে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। এ সময় এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু, সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য এস.এম শাহাদত হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যদেও মধ্যে বক্তব্য দেন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম, রাজাখালী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো.বাদশাহ মিয়া, ইউপি সদস্য ছেনুয়ারা বেগম, আজিম উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, অলি আহমদ প্রমুখ। এ সময় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বলেন ছৈয়দ নুর আ’লীগের কর্মী। রাজপথের লড়াকু সৈনিক। স্বাধীনতা ও মুজিবাদর্শের সৈনিকদের অস্ত্র ও জেল জুলুম দিয়ে শেষ করা যাবেনা। সেদিন তিনি আমাদেও সাথে কক্সবাজারে প্রতিনিধি সভায় ছিলেন। প্রধান মন্ত্রীর সমাবেশকে সফল করতে জেলা আ’লীগ আমাদেরকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। তিনি চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু অসাধু কর্মকর্তা তাকে সেদিন অস্ত্র উদ্ধারের নাকট সাজিয়ে আটক ও জেলে পাঠিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে ছৈয়দ নুর রাজাখালী থেকে সর্বোচ্চ লোকজনের সমাগম ঘটনানোর এ উদ্যেগ নসাৎ হয়েছে এ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে।
এদিকে রাজাখালী ইউনিয়নের লোকজনের দাবি ছৈয়দ নুরের বিরুদ্ধে এটি গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। আমরা দৃঢভাবে জানাচ্ছি সেদিন তার বাড়ি থেকে একটি অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। তাকে ফাঁসানোর জন্য এ অস্ত্র বাহির থেকে সরবরাহ দেয়া হয়েছে। তিনি রাজাখালী বাসির মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা। গত ইউপি নির্বাচনে রাজাখালীবাসি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। এলাকায় মানুষের অধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্টিত হচ্ছে। অপরাধ কর্মকান্ড হ্রাস পেয়েছে। মানুষ বাড়ি ঘরে নির্ভয়ে ঘুমাচ্ছে।
ব্যাভিচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম অব্যহত রয়েছে। জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন প্রতিবাদ করছেন। তিনি গরীবের বন্ধু। শোষক শ্রেনীর তার এ কর্মকান্ডকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে ঘায়েল করতে সেদিন প্রশাসনের সাথে হাত মিলিয়েছেন। এসব আমরা ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করছি। অবিলম্বে এ বিনাদায়ী থেকে তাকে নিস্কৃতি দেয়ার জন্য সরকার, রাষ্ট্র, আইন ও প্রশাসনকে বিনয়ের সাথে আহবান করছি।