পেকুয়ায় শিশু বিয়ে বন্ধে সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি :
পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া সদর ইউনিয়নে শিশু বিয়ে, শিশু শ্রম ও শিশু শাস্তি বন্ধে ওয়ার্ড উন্নয়ন কমিটির সদস্যদের নিয়ে ইউনিয়ন সভা ১৯ জুলাই পেকুয়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে সম্পন্ন হয়। সভায় সভাপতিত্ব ও সভা উদ্বোধন করেন পেকুয়া সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহাবুল করিম এমই্উপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়াত আজিজ রাজু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুর রশিদ খান। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ট্রেনিং অফিসার জালাল উদ্দিন। ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ব্র্যাক অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ জনসম্পৃক্ততায় সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন প্রকল্পের বাস্তবায়নে অনুষ্টিত উক্ত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক সিফরডি উপজেলা ম্যানেজার মুহাম্মদ সিরাজুম মুনীর।
কর্মশালায় জনসম্পৃক্ততায় সামাজিক রীতি ও আচরণগত পরিবর্তনের তিনটি ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেগুলো হল: শিশু বিয়ে, শিশু শ্রম ও শিশু শাস্তি বন্ধ।
প্রধান অতিথি বলেন, শিশু বিয়ে, শিশু শ্রম ও শিশু শাস্তি বন্ধে ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের সদস্যদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, নিজ পরিবার ও এলাকায় কার্যক্রম শুরু করতে হবে। তিনি মেয়েদের বোঝা মনে না করে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলতে বলেন। উম্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শাহনেওয়াজ, বুলবুল জন্নাত, জিয়াবুল করিম, মাও: ছগির আহমদ, মাও: ইউনুছ কাদেরী, জাহেদুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন, মোহাম্মদ এরশাদ, মোকারম হোসেন, রোকসানা আক্তার প্রমুখ।
সহাগিতায় ছিলেন যোগাযোগ কর্মী কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ হাসান, আবুল বাশার, রেজাউল করিম, সাইফুল্লাহ খালেদ, সাবরিনা সোলতানা, আমেনা বেগম, রোহানা ফেরদৌসী প্রমুখ। শিশু বিয়ের ফলেই সমাজে বহু বিবাহ, তালাক, যৌতুক, শিশু শ্রম, শিশু শাস্তি, পুষ্টিহীনতা, মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু বেড়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের মধ্যে পেকুয়া ইউনিয়ন যেন শিশু বিয়ে মুক্ত হয়ে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত হয় এ অঙ্গীকার করা হয়।