পেকুয়ায় ৩৪ বছর পর হত্যা মামলার রায়: একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৩২ বছর আগে বনকর্মী মিয়াজীকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৪ বছর পর রায় ঘোষণা। রায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার (১৫ মে) কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাইফুল এলাইহীর আদালতে এ রায় দেয়া হয়।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি সুলতানুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন পেকুয়ার টৈটংয়ের এনামুল হক সিকদার এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই এলাকার মো. ইউনুছ, মো. নুরুল ইসলাম ও এমকম কামাল হোসেন। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরো দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ১৯ জুলাই নিহত স্থানীয় বনকর্মী মিয়াজীর জিম্মায় থাকায় বনের বিপুল কাঠ লুট করতে প্রধান আসামি এনামুল হক সিকদারের নেতৃত্বে এমকম কামাল হোসেনসহ একদল লোক সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে বনকর্মী মিয়াজীকে গুলি করে এনামুল হক সিকদার। একই সাথে অন্যান্যরাও বিভিন্নভাবে তাকে আঘাত করে। এতে মারা যান মিয়াজী। এ ঘটনায় মিয়াজীর স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করলেও বাদীর মৃত্যু হয়। পরে তার ছেলে আবুল কাশেম বাদী হয়ে মামলা পরিচালনা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইজীবী এপিপি সুলতানুল আলম বলেন, এই ঘটনায় ৩৩ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছিলো কিন্তু ২২ জনকে তখনকার আদালত খালাস দিয়ে দিলেও ১১ জন আসামির শুনানি চলছিলো। পরে ৪ জনকে রেখে ৭ জন খালাস করে। বাকী ৪জনকে মামলায় রেখে দেয়। কিন্তু সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলাটি আটকে রাখে আসামি পক্ষ। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর অবশেষে মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

রায় ঘোষণাকারী যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এনামুল হক পলাতক রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পেকুয়া, মামলা, মৃত্যুদণ্ড
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন