পেকুয়ায় ৫ দিন পরও উদ্ধার হয়নি অপহৃত এক স্কুল ছাত্রী, থানায় মামলা
এম.জুবাইদ, পেকুয়া:
পেকুয়ায় অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত ২নং আসামী বাচ্ছু কে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জানাযায়, মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী বাংলা পাড়ার প্রবাসী নাসির উদ্দিনের একমাত্র মেয়ে নাসরিন সুলতানা হেনা (১৪) কে একই এলাকার দুবাই প্রবাসী নুরুন্নবীর ছেলে ইউনুচের নেতৃত্বে একটি অপহরণ চক্র ২৩ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টার দিকে প্রবাসী নাসিরের ঘরে কেউ না থাকার সুবাধে বসতঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মূখে জিম্মী করে পড়ার টেবিল থেকে স্কুল পড়ুয়া হেনা কে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
এঘটনায় ওই ছাত্রীর মা রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে অপহরণ কারী নুরুনবীর পুত্র ইউনুচ, আহমদ কবিরের পুত্র বাচ্চু, আব্দু ছত্তারের পুত্র মুবিন ও কাদেরের পুত্র মোখতারকে আসামী করে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৯। এঘটনায় অপহরণকারী ইউনুছের মা খোরশেদা বেগম, জেঠাত ভাই বাচ্চুকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার লোকজন জানান, ওই স্কুল ছাত্রী হেনা কে একই এলাকার নুরুনবীর পুত্র ইউনুচ স্কুলে যাওয়া আসা করতে প্রায় সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ঐ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে ইউনৃচ অবশেষে লোকজন নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে মেয়েটি পূব শত্রুতার জের ধরে অপহরণ করে অজানার উদ্দ্যেশে নিয়ে যায়।
বিগত দিনে প্রবাসী নাসির উদ্দিনের বসতবাড়ি নিয়ে সংঘর্ষ হলে খোরশেদা বেগম, মামা আবুল হোছাইন(আবুনি), বাচ্ছুর বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ঐ মামলা তারা জামিনে রয়েছে। সেই শুক্রতার জেরধরে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে জোরপূর্বক ঘরের ভিতর থেকে তুলে নিয়ে যায়। কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তি এই স্কুল পড়ুয়া মেয়ের কোন সন্ধান দিতে পেলে সঠিক সন্ধানদাতা কে দশ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার সাথে সাথে তাহার গোপনীতা রক্ষা করা হবে। ০১৮৪৯৮৭২৪৯৯, ০১৮২৩৭৪০৬৪৯ এ ফোন নম্বারে সন্ধান দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা ও মামলা রুজুর কথা স্বীকার করেন। ঐ স্কুল ছাত্রী অপহরণ করার ঘটনায় এক জন কে আটক করা হয়েছে। তাহার স্বীকারউক্তি মতে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।