পেকুয়া-কুতুবদিয়া জেটি দীর্ঘ দিন ধরে অন্ধকারে ॥ যাত্রী উঠানামায় চরম দূর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়া কুতুবদিয়া জেটি দীর্ঘ দিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে। ফলে চ্যানেল পারাপারে অন্ধকারে যাত্রীদের উঠানামা চরম কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে। দ্বীপের বাহিরে প্রতিদিন শত শত মানুষের যাতাযাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় তিন কিলোমিটারের অধিক নদী।

পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ডেনিস ও স্পীট বোট। এই ডেনিস বোট ও স্পীট বোট গুলোতে অধিকাংশ সময় দেখা যায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে। তাতে আবার উঠানামার জন্য রয়েছে সুদীর্ঘ জেটি। দ্বীপের বাহিরে যাওয়ার জন্য রয়েছে স্বয়ং সম্পন্ন ৪ টি জেটি। আর দ্বীপে যাওয়ার জন্য পেকুয়ার মগনামায় রয়েছে একটি জেটি। দিনের বেলা জেটি গুলোতে মোটামুটি উঠানামা করতে পারলেও রাতের বেলা নদীতে পড়ে অনেক সময় হাবুডুবু খেতে দেখা যায় যাত্রীদের। ফলে অধিকাংশ সময় দূঘর্টনার স্বীকার হতে হয় অনেককেই। পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়।

প্রতিদিন শত শত যাত্রী এ জেটি দিয়ে অন্ধকারে পারাপার করলেও কর্তৃপক্ষের অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে বাতি স্থাপন বা দূর্ঘটনা রোধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। জেটিগুলো হচ্ছে বড়ঘোপ স্টীমার ঘাট জেটি, দরবার ঘাট জেটি, ধুরুং ঘাট জেটি, আলী আকবর ডেইল জেটি, মগনামা জেটি। তৎমধ্যে পেকুয়ার মগনামা জেটি চাকচিক্যময় সুপ্রশস্ত হলেও বাতির কোন ব্যবস্থা নেই। বাকী ৪ টি জেটির মধ্যে ৩ টিও মগনামা জেটিকে অনুসরণ করছে। তবে বড়ঘোপ জেটিতে নিজস্ব উদ্যোগে বাতির ব্যবস্থা করছেন বলে জানিয়েছেন ইজারাদার দিদারুল ইসলাম। এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে যেকোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনায় পড়তে পারে যাত্রীরা।

বিশেষত দ্বীপের উন্নত মানের কোন স্বাস্থ্য সেবা না থাকায় জরুরী অবস্থায় রাতে যেকোন সময় বাহিরে নিয়ে যাওয়া হয় এসময় রোগীদের কে সবচেয়ে বেশি দূভোর্গ পোহাতে হয়। নুর হোসাইন নামের এক যাত্রী আক্ষেপের সাথে এ প্রতিনিধি কে জানান তিনি মগনামা জেটিঘাট থেকে রাত ৮ টার ঘাটে তার পরিবার নিয়ে বড়ঘোপ চ্যানেল পার হন। কিন্তু উভয় জেটিতে কোন বাতির ব্যবস্থা না থাকায় চরম কষ্টে উঠানামা করতে হয়েছে।

তিনি আরোও জানান ভাটার টান থাকায় বড়ঘোপ জেটিঘাটে উঠতে গিয়ে আরেক দূর্ভোগের শিকার হতে হয় বাতির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায়। কারণ ভাটার টান পড়লে পানি নিচে নেমে যায়। আয়েশা বেগম নামের আরেক মহিলা যাত্রী জানান তিনি দরবার ঘাট দিয়ে একটি মুমুর্ষ রোগী নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন মগনামা চ্যানেলে সন্ধ্যায় ঘাটে উঠানামার সময় বাতি থাকার কারণে অনেক কষ্ট হয়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শওকত হোসেন জানান অন্ধকারে যাত্রী উঠানামা করলেও বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকায় ও তাতে বাতি স্থাপনের কোন সিদ্ধান্ত নেননি। এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:মুমিনুর রশিদ জানিয়েছেন দ্বীপে বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা না থাকায় কোন জেটিতে বাতি স্থাপনের পদক্ষেপ নেই। তাছাড়া যাদের ইজারা দেওয়া হয়েছে তাদের সাথেও বাতি লাগানোর ব্যাপারে কোন চুক্তি হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন