পেয়াজেও মিশানো হচ্ছে রং : জব্দ ১০০ বস্তা

IMG_9843

কক্সবাজার প্রতিনিধি :
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পিঁয়াজে এখন মিশানো হচ্ছে রং। পিঁয়াজ দেখতে উজ্জ্বল এবং দেশী পিঁয়াজের লাল বর্ণ ধারণ কারণেই রং মিশাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। পিঁয়াজে রং মিশানোর ফলে শুধু স্বাস্থের ক্ষতি হচ্ছে না পাশাপাশি ঠকছের ক্রেতারাও। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এই চিত্রটি বেরিয়ে আসে। নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক রাসেলের নেতৃত্বে কক্সবাজার শহরের কানাই বাজার ও বড় বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালায়।

অভিযানে কানাইয়া বাজারের মিহির দাঁশের মোদির দোকানে রং মিশানো পিঁয়াজ পাওয়া যায়। এসব পিঁয়াজ জনসম্মুখে গাড়ি দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। যেখানে প্রায় ২০ কেজিরও বেশি পিঁয়াজ ছিল। পরে বড় বাজারের পিঁয়াজের আড়তে অভিযান চালালে ভাই ভাই ষ্টোরে রং মিশানো পিঁয়াজ পাওয়া যায়। তাই ওই ষ্টোরের মালিক মোহাম্মদ আবু তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। এসময় তার দোকানের ১০০ বস্তা পিঁয়াজ জব্দ করা হয় রং মিশানো কারণ পরীক্ষার জন্য।

এরই মধ্যে কানাইয়া বাজারের সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ী আবু বক্করকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করে ৯০০ টাকা দামের সরকারী গ্যাস বাড়তি মূল্যে বিক্রি করায়। আরেক ব্যবসায়ীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় নির্ধারিত মূলের অতিরিক্ত দাম রাখায়। তাদেরকে ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দাম রাখায় জরিমানা করা হয়।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নোবেল কুমার দাশ জানিয়েছেন, রং মিশানো পিঁয়াজ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে লোকজন। এছাড়া কমে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে ছিল, জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. শাহাজাহান আলী, মো. আব্দুর সাত্তারের নেতৃত্বে ৯ আসনার ব্যাটিলিয়ানের ৫ সদস্য।

নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হল রাসেল জানান, পবিত্র রমজানের দ্রব্য সামগ্রীর দাম স্থিস্তিশীল রাখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন