প্রথম আলোতে ‘অযৌক্তিক লেখায়’ বাঙ্গালী নেতৃবৃন্দের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও অগ্নিসংযোগ

1002955_152000928316898_1309024362_n

পার্বত্য নিউজ রিপোর্ট:

১০জুন দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদকীয় কলামে সংশোধিত ভূমি আইন বাতিলের দাবীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে হরতালকে অযৌক্তিক হিসেবে প্রচর করাই বান্দরবানের বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।রাঙামাটিতে প্রথমআলো পত্রিকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

রাঙামাটিতে সোমবার দুপুরে হরতাল সমর্থনকারীরা বনরূপা এলাকায় দৈনিক প্রথম আলোর কয়েকটি কপিতে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকলে পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে ল্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় দায়িত্বরত বাংলা ভিশন রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি নন্দন দেবনাথ ইটের আঘাত পান। পরে পুলিশ হরতাল সর্মথনকারীদের ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন, প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদকীয়তে হরতাল বিষয়ে বাঙ্গালী বিরোধী বক্তব্য ছাপানোর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ও পত্রিকায় অগ্নিসংযোগ করে। পরে হরতালকারীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।

অন্যদিকে গতকাল সোমবার বিবৃতিতে বান্দরবান জেলা সমঅধিকার আন্দোলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আহমেদ চৌধুরী, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সভাপতি কামরান ফারুক, পাহাড়ী বাঙ্গালী সংহতি পরিষদের সভাপতি নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে প্রথম আলো সম্পাদক দেশদ্রোহী সন্তু লারমার দালালী করছেন। এসব কিছু দালালের কারণে সন্তু লারমার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী ও অন্যান্য উপজাতী সন্ত্রাসীরা পার্বত্য এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আরো উৎসাহিত হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক তার পত্রিকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির পরিবর্তে আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। একজন পত্রিকার সম্পাদকের জানা উচিৎ  বাংলাদেশ সংবিধানে আদিবাসী হিসাবে কোন শব্দ নেই। আর আদিবাসী শব্দ ব্যবহার না করার জন্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করে তিনি সংবিধান লংগন করেছে বলে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ তুলেন।

নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন, প্রথম আলো সম্পাদক নিজেও সন্তু লারমার জুমল্যান্ড ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত।  নেতৃবৃন্দরা বলেন, বাঙ্গালীরা কোন উপজাতীকে তাদের ভিটা বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেনি বরং উপজাতীরাই গহীন অরণ্যে বসবাসকারী বাঙ্গালীদের বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করেছে। প্রথম আলো সম্পাদকের জানা উচিৎ পাহাড়ে এখনো বাঙ্গালী বসবাসকারী, ব্যবসায়ী, ঠিকাদারদেরকে বাৎসরিক উপজাতীয় সন্ত্রাসীদেরকে চাঁদা দিতে হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, সরকারের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা উপজাতীয়রাই ভোগ করছেন, বাঙ্গালীরা নয়। এরপরেও তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। নেতৃবৃন্দরা প্রথম আলো সম্পাদককে একপেষে লেখাটি প্রত্যহার করার জন্য আহবান জানিয়েছেন।

 

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন