প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবির যৌক্তিকতা নেই

fec-image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা বাতিলের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে গত শুক্রবার প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেছেন পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ। গত সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।

পরীক্ষার্থীরা জানান, চলমান হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা গ্রহণ, বৈরী আবহাওয়ায় দূরপাল্লার গাড়ি না পাওয়া, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস না পাওয়া ও পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন বাইরে চলে যাওয়াসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

গত সোমবারের মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়া ফাতেমা আক্তার সাথী বলেন, কয়েক দফা পিছিয়ে হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অথচ একই কারণে পেছানো হয়েছে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। সমন্বিত ৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও পেছানো হয়। আবার পরীক্ষায় প্রক্সিসহ ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা এ পরীক্ষা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট করব।

পরীক্ষার্থীদের দাবির বিষয় নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ আজ বলেন, প্রথম ধাপের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিলেন সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ। এখানে অনেকেরই পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। যাদের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে তারাই এ ধরনের দাবি করতে পারে।

তিনি আরও জানান, এটি একটা পাবলিক পরীক্ষা। পরীক্ষা স্বচ্ছ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। অবরোধের মধ্যে কোনো কাজ থেমে নেই। বাস-ট্রেন সবই চলছে। এছাড়া আমাদের পরীক্ষা হয়েছে শুক্রবার। সেদিন কোনো হরতাল-অবরোধ ছিল না। কাজেই তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষা, বাংলাদেশ, শিক্ষা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন