প্রায় দু’ঘণ্টা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর ফিরল হোয়াটসঅ্যাপ

fec-image

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদান প্রদানে সমস্যা হচ্ছিল। তার পর সেই বিরতি গড়ায় প্রায় দু’ঘণ্টা। ইদানীং কালে এত দীর্ঘ সময়ের হোয়াটসঅ্যাপ গোলমাল দেখা যায়নি।

হোয়াটসঅ্যাপ একটি হাইব্রিড প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে ফোন এবং ইমেইল ব্যবহারের দুধরনের সুবিধাই পাওয়া যায়। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি যেমন মেইলের মতো ফাইল পাঠাতে পারবেন, তেমনি চ্যাট অ্যাপের মতো তাৎক্ষণিক যোগাযোগ বা ফোনকলও করতে পারবেন। এমন প্রয়োজনীয় একটি প্রযুক্তি প্রায় দু’ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন ছিল। তাই অনেকের কাছে মনে হচ্ছিল সেই দু’ঘণ্টাই যেন কাটতে চাইছে না। শেষে কোটি কোটি ব্যবহারকারীকে স্বস্তি দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক হল হোয়াটসঅ্যাপের। প্রায় দু’ঘণ্টা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করল হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা। কিন্তু কী কারণে এই সমস্যা তা এখনও জানানো হয়নি হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটা-র পক্ষ থেকে। খবর আনন্দ বাজার

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে বন্ধ হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১১ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী হোয়াটস্যাপের গোলযোগের কথা জানান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে থাকে অভিযোগ। অনেকেই জানান, হোয়াটস্যাপ গ্রুপে পাঠানো বার্তা ডেলিভার হচ্ছে না। কেউ আবার বলেন, ব্যক্তিগতভাবে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা সিঙ্গল টিক থেকে ডবল টিক হচ্ছে না। তবে সার্বিকভাবে যে বার্তা আদান-প্রদানে বড় রকমের সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা তা স্পষ্ট ছিল। কেন এমন হচ্ছে, তার কোনও ব্যাখ্যা না দিলেও মেটার তরফে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ব্যবহারকারীদের। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে অবশ্য লেগে গেল প্রায় দু’টি ঘণ্টা। সূত্রের খবর, ১ ঘণ্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট সাতচল্লিশ সেকেন্ড পর স্বাভাবিক হয় হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা।

যদিও তত ক্ষণে অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ত্রাহি রব উঠেছে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাচ্ছে না জানাতে তৈরি হয়ে গিয়েছে অজস্র ব্যাঙ্গচিত্রও। এক ব্যবহারকারী এমনও লেখেন, ‘‘ফোন ছাড়া থাকা যায়, কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়া বোধ হয় যায় না।’’ বিষয়টি যদিও অসম্ভব, কারণ ফোন ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করাও সম্ভব নয়। কিন্তু সাধারণ জীবনে এই মেসেঞ্জার পরিষেবা কতটা জরুরি হয়ে পড়েছে তা ওই পোস্টে স্পষ্ট হয়ে যায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন