ফটিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি সীমান্তে চা বাগান এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শান্তি বৈঠক

UeUcPRPR

স্টাফ রিপোর্টার:

ফটিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি সীমান্তে চিংছড়ি পাড়ার (সরকারি ডেবা) ট্যাকবাড়িয়া এলাকায় চা বাগানের ভূমি বিরোধের জের ধরে রহস্যজনক আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় পাহাড়ী-বাঙ্গালি উত্তেজনা নিরসনে কাঞ্চননগর ইউনিয়ন পরিষদে এক শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়ে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর লক্ষ্মীছড়ি ও ফটিকছড়ি উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও কর্তা ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এক শান্তি বৈঠক করেন। বৈঠকে আগামি ২৮ জানুয়ারি বিরোধ নিস্পত্তিকল্পে বিষয়টি মিমাংসার জন্য দুই উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আবারো বৈঠক করা হবে, সেই পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জনানো হয়।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, ফটিকছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট উত্তম মহাজন, কাঞ্চন নগর ইউপি চেয়ারম্যান রশীদ উদ্দিন কাতেব, লেলাং ইউপি চেয়ারম্যান কুতুপ উদ্দিন মুহুরী, ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস উদ্দিন, ট্যাকবাড়িয়া চা বাগনোর ম্যানেজার মো. ইলিয়াস, কর্ণফুলি চা বাগানোর ম্যানেজার শাহনেওয়াজ এবং লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান অংগ্য প্রু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেবি রানী বসু, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ব্যাপারি, বাইন্যাছড়া ক্যাম্প কমান্ডার ক্যপ্টেন হাসান মেহেদী ও লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ রকিবুল হাসানসহ দুই উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিগন ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে এক বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেন।

বিরোধ নিরসন কল্পে সবাই মিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়, নি:সন্দেহে এটা তৃতীয় পক্ষের কাজ-তাই কেউ যেন শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে না পারে সে জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানানোর পাশাপাশি আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিকদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের দাবি দীর্ঘ দিন ধরে বসত বাড়ি করে ভূমি চাষাবাদ করে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু চা মালিক পক্ষ জোরপূর্বক ভূমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন। অপর দিকে গত ২ বছর আগে চা বাগানের সীমানা এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা ঘর বেঁধে ভূমি দখল করে রাখে এবং বার বার বলা সত্তেও তারা দখল ছাড়েন নি।

জরাজীর্ণ এই ঘরগুলোতে কোনো লোকজন থাকে না বলেও চা মালিক পক্ষের দাবী। তবে আগুন পাহাড়িদের বসত ঘর পুড়ে দেয়া হয়েছে এ অভিযোগ সত্য নয়, এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়ে চা বাগানোর মালিকদের উপর চাপানো হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান, ম্যানেজার মো: ইলিয়াস। তবে প্রকৃত তদন্ত করে এ ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করার দাবি সচেতন মহলের।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন