বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের অপেক্ষায় মিয়ানমারের বিজিপি

fec-image

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী সাথে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আরাকান আর্মির মাঝে গোলাগুলি এখনো চলমান রয়েছে। যার ফলে প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ অপেক্ষায় রয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলায় জামছড়ি, আশারতলী, লেম্বুছড়ি ও পাইনছড়ি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তে যাতে আরো কোন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সেখানে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে সে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির সেক্টর-২ এর আরও শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। জামছড়ি সীমান্তে জড়ো হয়েছে বিপুলসংখ্যক বিজিপি সদস্য। আজকালের মধ্যে সীমান্তের জিরো লাইনে তারা আশ্রয় নেওয়ার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।

এদিকে গেল গত ১১ মার্চ তিন দফায় জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তাসহ ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় নেয়। তাদের বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটেলিয়ান সদরের একটি স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের তথ্য যাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায় নি। এর আগে প্রাণ রক্ষার্থে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপি ৩৩০ জন সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলো। পরে তাদেরকে কক্সবাজার ইনানী নৌঘাট থেকে জাহাজের করে মিয়ানমারের প্রেরণ করেন বিজিবি।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন