বাইশারী চাক হেডম্যান পাড়া থেকে লংগদুর মুখ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে পাল্টে যাবে পাহাড়ের চিত্র

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দুর্গম জনপদ বাইশারী চাক হেডম্যান পাড়া থেকে পিএইচপি রাবার বাগান হয়ে লংগদুর মুখ পর্যন্ত ব্রীক সলিন দ্বারা উন্নয়ন মুলক সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে এলাকার শত শত মানুষ। সড়কটি নির্মাণ হলে পাল্টে যাবে পাহাড়ের চিত্র। ভাগ্যে চাকার আমুল পরিবর্তন আসবে হাজারো পাহাড়ি বাঙ্গালীর।

পার্বত্যচট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত ১০ কিলোমিটার রাস্তাটি ব্রীক সলিন দ্বারা উন্নয়ন মুলক কাজটি পেয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মনি কনাস্ট্রাকশন । ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৬কিঃমিঃ এর মতন কাজ সম্পন্ন হলে ও আরও ৪ কি. মি. কাজ অসম্পন্ন রয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য থোয়াই চালা চাক।

স্থানীয় বাসিন্দা খিজারী চাক জানান রাস্তাটি নির্মাণ হলে বাদুড় ঝিড়ি চাক পাড়ায় সন্ত্রাসীদের হুমকি ও অত্যাচারে উচ্ছেদ হওয়া পরিবার গুলো সহজে আবারও ছেলে মেয়েদের নিয়ে বসবাস শুরু করতে পারবে। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদসরা টহল দিতে পারবে অনেক সহজে। তাই পাড়াবাসী ও দ্রুত কাজটি সম্পন্নের দাবি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান কিছু কু চক্রী মহল রাস্তাটির উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদান করছে। এনিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি।  যাতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখে এবং ওই দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় বাইশারী চাকপাড়া থেকে পিএইচপি রাবার বাগান  হয়ে লংগদুর মুখ পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ হলে পাল্টে যাবে পাহাড়ের চিত্র। ভাগ্যের পরিবর্তন হবে হাজারও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। পাহাড়ে বসবাস রত ৫টি গ্রামের লোকজন ও একইভাবে সুযোগ সুবিধার আওতায় আসবে।

পাহাড়ে উৎপাদিত পন্য সহজে বাজারজাত করে ন্যায্য মূল্য পাবে চাষীরা। গাড়ি যোগে যাতায়াতসহ দ্রুত মালামাল নিয়ে এসে বাজারে বিক্রয় করতে পারবে এবং উৎপাদিত পন্য আর পচন ধরবেনা।

 আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর জানান, রাস্তাটি নির্মাণ হলে রাবার বাগানের কয়েকশ শ্রমিক সহজে যাতায়াত ও কাধে বহন করে রাবার আনা নেওয়া বন্ধ হবে। সরকার পাবে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দোছড়ি ইউনিয়ন ও উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে এবং আলী কদম উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হবে বলে।

তিনি আরও জানান পার্বত্য মন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিকতায় শুধু বাইশারী লংগদুর মুখ সড়ক নয়  উপজেলার চিত্রও পাল্টে গেছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক লিটন জানান, একদিকে করোনাভাইরাস ও অন্যদিকে আগাম বন্যা হওয়ার করণে কাজ একটু ধীর গতিতে চলছে। অবশ্যই শিডিউল মোতাবেক কাজ গুনগত মানেই সম্পন্ন করবে। এবিষয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতা চান তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি বলেন, জনগণের আস্থা ও ভালবাসা এবং পার্বত্যমন্ত্রী মহোদয়ের সু নজরে পাল্টে যাচ্ছে বাইশারী ইউনিয়নের চিত্র। তিনি আরও বলেন, বাইশারীতে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে এবং বর্তমানে কয়েকশ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এসব পার্বত্য বীরের অবদান। তিনি পার্বত্য বীরের সুস্থতা কামনায় দোয়া চান সকলের নিকট।

এবিষয়ে পার্বত্যচট্টগ্রাম উন্নয়নবোর্ড (বান্দরবন) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইয়াছিন আরাফাত মুঠোফোনে জানান, কাজের গুনগতমান ঠিক রেখে সড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। নো কম্প্রোমাইজ নীতিতে কোন ধরনের অনিয়ম হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে ছাড় দেওয়া হবেনা। শতভাগ কাজ বুঝে নেওয়া হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে যাব আমরা।

এলাকাবাসী পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য দ্রুত রাস্তার কাজ সম্পন্নের দাবি জানান কর্তৃপক্ষের নিকট।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন