বুধবার খাগড়াছড়ি’র ৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ॥ নেমেছে স্ট্রাইকিং ফোর্স

Election 01
আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
রাত শেষ হলেই সকালে খাগড়াছড়ি’র ৬ উপজেলায় শুরু হবে ভোট গ্রহন। চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৬টি উপজেলায় শেষ হয়েছে সব ধরনের ভোট গ্রহনসহ যাবতীয় প্রস্তুতি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও শান্তিপুর্ণ নির্বাচনের লক্ষে মাঠে নেমেছে স্ট্রাইকিং ফোর্স সেনাবাহিনী। এছাড়াও মধ্যরাতেই শেষ হয়েছে মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে সব ধরনের যান্ত্রিক যান চলাচল।

বুধবার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রেগুলোতে পৌঁছে গেছে সকল নির্বাচনী সরঞ্জামাদি। সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে টানা ভোটগ্রহণ। এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলার ৬টি উপজেলায় মোট প্রার্থী সংখ্যা ৭৭ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২৫ জন প্রার্থী।

এ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি জেলার ৬ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১’শ ৩৮ জন এবং মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৫টি। প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার, প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে ২ জন পুলিশ (অস্ত্রসহ), আনসার একজন (অস্ত্রসহ), আনসার ১০ জন (মহিলা-৪, পুরুষ-৬) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
আ’লীগ-বিএনপিসহ পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলো তাদের পছন্দমতো প্রার্থী দেয়ায় এবারের উপজেলা নির্বাচনের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। জেলার রামগড়, পানছড়ি ও মানিকছড়ি উপজেলায় রয়েছে প্রধান দুটি দলের-ই বিদ্রোহী প্রার্থীও। নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মাঝে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দিপনা। ইতিমধ্যে জয়-পরাজয় নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে কি ঘটছে নির্বাচনী ফলাফল তা দেকতে অপেক্ষা করতে হবে ভোট গণনা পর্যন্ত।

এদিকে- নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে এরই মধ্যে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. আব্দুল খালেক। কেউ আইন অমান্য করে বিশৃংখলার চেষ্টা করলে কারাদন্ড ও আর্থিক দন্ডে দন্ডিত হবেন এবং এমনকি প্রার্থিদের ক্ষেত্রে প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে বলে তিনি জানান।

স্ট্রাইকিং ফোর্স
খাগড়াছড়ি জেলার অনুষ্ঠিতব্য ৬টি উপজেলা নির্বচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আজ থেকে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। সঙ্গে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে প্রতি উপজেলায় ১ প্লাটুন করে সেনাবাহিনীর সদস্য টহল দেবে। বড় উপজেলায় এ সংখ্যা বাড়তে পারে। পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুই থেকে তিনটি গাড়ি থাকবে। সঙ্গে সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।  

ভোটার সংখ্যা কেন্দ্র ও ঝুকিপুর্ণ কেন্দ্র:
 খাগড়াছড়ির ৮টি উপজেলার প্রথম দফা অনুষ্ঠিতব্য ৬টি উপজেলায় ৩ লাখ ১৩৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৭৯ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৯ জন।
 ভোটকেন্দ্র ১৪৫ এবং বুথ রয়েছে ৯০৪টি। ৬টি উপজেলায় ১৪৫ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটারবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।  

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন