বেইলি রোডে আগুন: পাশাপাশি কবরে শায়িত স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পশ্চিম মরিচ্যায় কবরস্থানে চির শায়িত করা হয়েছে রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত শাহ জালাল উদ্দিন, স্ত্রী মেহেরুন নিসা ও ৪ বছরের কন্যা ফাইরুজ কাশেম জামিরাকে।
পশ্চিম মরিচ্যার স্থানীয় মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তিনজনকে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) বেলা ১২ টায় মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় নামাযে জানাজা শেষে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে ঢল নামে এলাকাবাসীসহ শোকার্ত মানুষের।
জানাজার পূর্বে নিহতদের জীবনকর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন নিহত শাহ জালালের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসসহ স্থানীয় আওয়ামী ও পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে সকাল থেকে দূরদূরান্ত থেকে তাঁদের এক নজরে দেখতে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে চলে স্বজনদের আহাজারি।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহজালালের স্ত্রী মেহেরুন নিসার রামুর গ্রামের বাড়ি ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নে পৌঁছায় তাদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স। তাদের মরদেহ কক্সবাজার পৌঁছার পর সৃষ্টি হয় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। ওই রাত সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় শাহজালালের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের হলদিয়াপালংয়ে।
কাস্টমস ইন্সপেক্টর শাহ জালাল উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেলার পানগাঁও কাস্টমস অফিসে কর্মরত ছিলেন। টানা ৩ দিনের ছুটি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে খাগড়াছড়ি ভ্রমণে কথা ছিল। কিন্তু সেখানে রওনা দেওয়ার আগে বেইলি রোডের সেই কাচ্চি ভাই রেঁস্তোরায় খেতে গিয়ে আগুনে পুড়ে মরলো একমাত্র শিশু সন্তানসহ মা-বাবাও।
অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও তাদের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পড়েছিল। পরে শুক্রবার রাতে ৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা।