ভাঙ্গা অস্ত্রগুলো জমা দিয়ে ভাল অস্ত্র দিয়ে চাঁদাবাজি করছে সন্ত্রাসীরা

fec-image

ভাঙ্গা অস্ত্রগুলো জমা দিয়ে ভাল অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ে চাঁদাবাজি করছে সন্ত্রাসীরা। পাহাড়ে এমন কোন ব্যবসা নেই যে, সন্ত্রাসীদের চাঁদা দেওয়া ছাড়া চলে না। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত পাহাড়ে খুন ও গুমসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে।

শুক্রবার ( ০৬ নভেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি শহরের ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের প্রাঙ্গনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় ও ছাত্র সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপজাতিদের ভর্তির জন্য আলাদা কোটা রয়েছে সেই ১৯৮৪ সাল থেকে। শান্তিচুক্তির পর কোটার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে অথচ এই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া বাঙালীদের জন্য তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। জনসংখ্যার দিক থেকে পাহাড়ে বাঙালীরা ৪৮ শতাংশ হলেও তাদের জন্য ২৩ শতাংশ বৃত্তি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাবৃত্তিতে উপজাতিদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। উপজাতিরা যেভাবে সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, পাহাড়ের বাঙালীরা সে সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। তাই পাহাড়ে বসবাসকারী সকল জনগোষ্ঠির উপর সমানভাবে সরকারকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এই বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে হলে ছাত্র সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং অধিকার আদায়ে ছাত্র সমাজকেই দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

এসময় মতবিনিময় ও ছাত্র সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলার ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মুহাম্মদ শাব্বির আহমেদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর রাঙ্গামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাদিরুজ্জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা অর্থ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম, সহ-অর্থ সম্পাদক মো. আতাউর, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা সম্পাদিকা মোর্শেদা বেগম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম আল হাসান, প্রচার সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন