মহালছড়ি পরিবার পরিকল্পনা ভবন ধ্বসে পড়ার ঝুঁকিতে
জরাজীর্ণ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অফিস করে আসছেন মহালছড়ি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ছাদ থেকে পড়ে অফিস কক্ষগুলোতে পানি জমে থাকে। প্রশাসন দ্রুত কোন পদক্ষেপ না নিলে যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর ফলস্বরূপ গত (৮ মার্চ) রবিবার অফিস চলাকালীন সময়ে উপজেলা পরিবাবার পরিকল্পনা সহকারী (হিসাব) ত্রিতাপ চাকমা ও কম্পিউটার অপারেটর রামেসু মারমা কাজ করার সময় হঠাৎ করে ভবনের ছাদ থেকে আস্তর ধ্বসে পড়ে কম্পিউটারটি ভেঙে যায়। এছাড়াও কম্পিউটার টেবিল ও অন্যান্য মূল্যবান কিছু সরঞ্জাম ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়। এ আস্তর যে কারোর মাথায় পড়ে ঘটে যেতে পারতো এর থেকে আরো বড় দুর্ঘটনা। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ত্রিতাপ চাকমা ও রামেসু মারমা এ দুজন কর্মকর্তা কর্মচারী।
এর আগেও একবার ভবনের ছাদ থেকে আস্তর ধ্বসে পড়েছিল। তখন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ঘটনাটি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মৃদুল কান্তি ত্রিপুরাকে অবগত করার পর উপজেলা প্রকৌশলী মো: আসাদুজ্জামান সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চঞ্চল কেতন চাকমা জানান, এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির ব্যাপারে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করার পরও কোন সুফল পাওয়া যায় নি। ফলে এখন অফিসের স্টাফ সকলকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস স্থানান্তর করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।