মহেশখালীর কালারমারছড়াতে চলছে দখলবাজি

মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালীর কালারমারছড়ায় সিটিএলই কোম্পানির দখলবাজি অব্যাহত রয়েছে। জমির মালিক ও ঘরের মালিকদের ক্ষতিপুরণ না দিয়ে চলছে দখলবাজি। গত কয়েকদিনে অন্তত ৩ লাখ টাকার গাছ কেটে দিয়েছে এই কোম্পানির লোকজন। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
কালারমারছড়ায় সিটিএলই কোম্পানির দখলবাজি ও তান্ডব এখনো অব্যাহত আছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ঠিকাদারির আশায় জমির মালিক ও বসতবাড়ির মালিকদের পিঠে চুরিকাঘাত করে এই দখলবাজিতে সহযোগিতা করছে এমন অভিযোগ করেছেন জমি ও বসতবাড়ির মালিকরা।
জমির মালিক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, কাউকে কোন প্রকার ক্ষতিপুরণ না দিয়ে যেভাবে দখলবাজী চালাচ্ছে এতে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তিনি বিভিন্ন কৌশলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সিটিএলই কোম্পানীর লোকজন ফসলি জমি মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়ে দখল করে নিচ্ছে।
৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শরীফ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কারো সাথে আমার আলোচনা হয়নি। তিনি কিছু বললে সমস্যা আছে, তাই স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কিছু বলা যাচ্ছে না। জমির মালিক থেকে শুরু করে স্থানীয় কোন লোক কথা বলার সাহস করবে না। এ অন্যায় কাজে একটি প্রভাবশালী চক্র কাজ করছে। তারা বিভিন্ন কোম্পানির ঠিকাদারি করতে স্থানীয় অসহায় মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
সিটিএলই এর এজিএম মোহাম্মদ জোবায়ের চৌধুরী জানান, যা হচ্ছে সব ইউপি চেয়ারম্যানই করছেন। এতে আমাদের করার কিছু নেই। এই প্রকল্পের মুল কাজের দায়িত্বে আছে অন্য একটি কোম্পানি। আমাদের কোম্পানি ওই কোম্পানির অধিনেই কাজ করছে। কিন্তু এখানে সব কাজ করছে ইউপি চেয়ারম্যান। জমির রিকুইজিশানের মূল্য কত টাকা দেওয়া হচ্ছে তা ওই কোম্পানীই জানবে।
তবে এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তারেক শরিফের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
 যদি গোপন করে আত্মসাৎ করলে তার দায়-দায়িত্ব স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ওই কোম্পানীর বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন