মাটিরাঙ্গায় দীপা ত্রিপুরা গণধর্ষণের হোতা পিসিপি সন্ত্রাসী ক্রিফল ত্রিপুরাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী

ক্রিফল
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:

চাঁদাবাজি, অপহরণ ও ধর্ষণের মতো ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চুক্তিবিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সন্ত্রাসী ক্রিফল বিকাশ ত্রিপুরা (২০)-কে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

আটক ক্রিফল বিকাশ ক্রিপুরা বাইল্যাছড়ি স্কুল পাড়ার হেমেন্দ্র বিকাশ ত্রিপুরার ছেলে।

শনিবার বিকালের দিকে তাকে আটক করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা জোনের একটি সেনাটহল দল শনিবার বিকালের দিকে মাটিরাঙ্গা বাজার থেকে বাইল্যাছড়ি যাবার পথে একটি যাত্রীবাহি বাসে তল্লাসী চালিয়ে মাটিরাঙ্গা জোন সংলগ্ন মাটিরাঙ্গা পাইলট হাই স্কুলের সামনে থেকে তাকে আটক করে। এসময় তাদের কাছে থেকে একাধিক মোবাইল ফোন, সীম ও চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কর্মী ক্রিফল বিকাশ ত্রিপুরা (২০) চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১২ তারিখে বাইল্যাছড়ি এলাকা থেকে দীপা ত্রিপুরা (১৮) ও আবদুল হান্নান (২৪) অপহরণ ও দীপা ত্রিপুরাকে গণধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল।

এদিকে আটককৃত ক্রিফল বিকাশ ত্রিপুরা নিজেকে পিসিপির কর্মী দাবি করে বলেন, অমল বিকাশ ত্রিপুরার নেতৃত্বে সে দীর্ঘদিন ধরে বাইল্যাছড়ি সাইনবোর্ড এলাকা সহ আশে-পাশের এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও অপহরণ এবং ধর্ষণের মতো অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। সে দীপা ত্রিপুরাকে গণধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

এছাড়াও দীপা ত্রিপুরার পাশাপাশি পিসিপি‘র নারী কর্মী উখ্রাচিং মারমার সাথে ১৯ পিসিপি নেতার ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ক্রিফল ত্রিপুরা বলেন, পিসিপি‘র নারী কর্মী উখ্রাচিং মারমা প্রায়ই আমাদের সাথে আনন্দ-ফুর্তি করে।

আটক পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কর্মী ক্রিফল বিকাশ ত্রিপুরাকে শনিবার সন্ধ্যার দিকে গুইমারা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আটক পিসিপি কর্মীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোস্তাফিজুর রহমান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন