মাটিরাঙ্গায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা রুখে দিল পলাশপুর বিজিবি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:
মাটিরাঙা উপজেলাধীন পলাশপুর জোনের আওতাধীন গোমতির গালামনি পাড়ায় বাঙ্গালী যুবক কর্তৃক প্রতিবেশী কাকরান্তি ত্রিপুরাকে ধর্ষনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা রুখে দিল পলাশপুর জোন।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রোববার সকাল ১০টার দিকে পলাশপুর জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. খালিদ আহমেদ পিএসসির নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
এসময় গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন লিটন, স্থানীয় ইউপি মেম্বার মিলন ত্রিপুরা, সুমনের মা গোলাপজান, প্রতিবেশী মো. সিরাজ মিয়া ও মানিক ত্রিপুরাসহ স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন পলাশপুর জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. খালিদ আহমেদ পিএসসি।
ঘটনার তদন্তকালে বাঙ্গালী যুবক কর্তৃক প্রতিবেশী কাকরান্তি ত্রিপুরাকে ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রমানিত হয়।
এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাটিরাঙ্গার মংগলা ত্রিপুরা নামক এক জেএসএস সদস্য জনৈক রুহুল আমিন কন্ট্রাক্টরের নিকট হতে গোমতি এলাকার বলিচন্দ্র পাড়ার রাস্তা মেরামত বাবদ চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না পাওয়ার কারণে মংগলা ত্রিপুরা ওই এলাকার পাহাড়ি ও বাঙ্গালীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্নভাবে অপপ্রচারে নিয়োজিত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাঙালি যুবক কর্তৃক কাকরান্তি ত্রিপুরাকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ সৃজন করা হয়েছে।
পলাশপুর জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. খালিদ আহমেদ পিএসসি এসব অপতৎপরতার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করেন। পাশাপাশি জেএসএস সদস্য মংগলা ত্রিপুরাকে অফিসে ডেকে এনে সব ধরনের অশুভ তৎপরতা হতে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করেন।
গোমতি চেক পোস্টে বিজিবি সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে পলাশপুর জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. খালিদ আহমেদ পিএসসি বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।