মাটিরাঙ্গা ইউএনও অফিসে সংরক্ষিত চেয়ারে বসবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

fec-image

বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াত দীর্ঘদিনের। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন প্রয়োজনে ইউএনও‘র কার্যালয়ে আসলেও তারা ইউএনও‘র সামনের চেয়ারে বসে স্বাভাবিক নিয়মেই কাজ সেরে বিদায় নিতেন।

স্বাধীনতার মাসের প্রথম দিনেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিজের কার্যালয়ে একটি চেয়ার সংরক্ষিত করেছেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ। এখন থেকে ‘ইউএনওর অফিসে সংরক্ষিত চেয়ারে বসবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা’।

সোমবার(২ মার্চ) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে গেলে অন্যান্য চেয়ারের পাশাপাশি তার বাম পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত চেয়ারটি চোখে পড়ে। কালো রঙয়ের চেয়ারটিতে ‘ বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য সংরক্ষিত’ লেখা একটি ট্যাগ লাগানো।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চেয়ার সংরক্ষিত রাখার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় সচেতন মহল।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. মনছুর আলী বলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ স্বাধীনতার মাসে এমন উদ্যোগের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন। তাঁর এ উদোগের ফলে মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করেন তিনি।

এবিষয়ে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ মাটিরাঙ্গায় যোগদানের পর উপজেলা প্রশাসনকে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। তার বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বিভিন্ন পেশার সেবা প্রার্থীদের সরকারি সেবা নিশ্চিত হয়েছে। মুজিববর্ষের শুরুতেই তার কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত চেয়ার প্রতিষ্ঠা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

নিজ কার্যালয়ে জাতির সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি আসন সংরক্ষণ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন থেকেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যাদের ত্যাগ ও রক্তে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছে তাদের জন্য এটুকু সম্মান দেখাতে আমাদের কার্পণ্য হওয়ার কথা নয়। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি চেয়ার সংরক্ষিত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইউএনও, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মাটিরাঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন