মানিকছড়িতে ‘করোনা’ উপসর্গ নিয়ে গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু

fec-image

মানিকছড়ি উপজেলায় এই প্রথম  ‘করোনা’র উপসর্গ নিয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে মৃত্যু ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহে মেডিক্যাল টিম, দাফন-কাফনে স্বেচ্চাসেবী দল ও পুলিশ সরজমিনে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা মো. রোশন আলীর মেয়ে গার্মেন্টস কর্মী শারমিন আক্তার (২৩) গত ১৯ মে প্রশাসনের অজান্তে গ্রামের বাড়িতে আসে। গত ৩/৪ দিন ধরে সে সর্দি, কাশি, জ্বর ও গলা ব্যথায় ভুগছিল।  অভিভাবকরা মেয়ের অসুস্থতার ধরণ নিয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা উপজেলা হাসপাতালে যোগাযোগ করে চিকিৎসার কথা বললেও লোক-লজ্জার ভয়ে তারা চিকিৎসকের কাছে না এসে জ্বর ও ব্যথার ওষুধ (প্যারাসিটামল)সেবন করান। কিন্তু কিছুতেই ওই গার্মেন্টস কর্মীর শরীরে ‘করোনা’ উপসর্গ কমছিল না। ফলে ২৬ মে বিকাল ২.৩০মিনিটে তার মৃত্যু ঘটে। এ খবর জনপদে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র আতঙ্ক নেমে আসে।

করোনা’র উপসর্গ নিয়ে মৃতুবরণ করায় গ্রামের কেউ তার দাফন-কাফনে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের নজরে আসে। যার ফলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নমুনা সংগ্রহে একটি টিম, ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রস্তত থাকা একটি দাফন-কাফন টিম নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা জানান, জ্বর, গলা ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গে গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে নমুনা সংগ্রহ করতে একটি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুত রাখা একটি দাফন-কাফন টিম ও পুলিশ সরজমিনে রওয়ানা হয়েছে। অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনা, গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু, মানিকছড়িতে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন