মানিকছড়িতে স্কুল শিক্ষক নিহতের ঘটনায় খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও মানিকছড়ি কলেজিয়েট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিংসা মং চৌধুরী নিহত এবং অপর একজন আহত হওয়ার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে মারমা সম্প্রদায়ের বিক্ষোভকারীরা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা সদরের পানখাইয়াপাড়া এলাকা থেকে ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন। মিছিলকারীরা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বনির্ভর এলাকার দিকে যেতে চাইলে চেঙ্গী স্কোয়ারে পুলিশ মিছিলে বাধা প্রদান করে।
মিছিলকারীরা পুলিশী ব্যারিকেড ভেঙ্গে সামনে গেলে কলেজ গেইট এলাকায় দ্বিতীয়বার আবারো ব্যারিকেডের সম্মুখীন হয়। পরে মিছিলকারীরা সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর, একটি আবাসিক হোটেলে ও একটি দোকানের বাইরের গ্লাস ভেঙ্গে দেয়।
পরে পৌর শাপলা চত্বরের সমাবেশ থেকে মারমা নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করে বলেন, ইউপিডিএফ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কোন মারমা গ্রামে আজ থেকে ইউপিডিএফের নেতাকর্মীদের আশ্রয় না দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয় সমাবেশ থেকে। একইভাবে ৪৮ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা না হলে মারমা সম্প্রদায়ের সকলকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হবে।
এদিকে নিহত সিংসা মং চৌধুরীর লাশ রোববার সকালে খাগড়াছড়ি হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়ি ছদুরখীল নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে পারিবারিক শ্মাশানে তাকে দাহ করা হয়। এতে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামলীগের সভাপতি ও সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামলীগের সহসভাপতি চাইথোঅং মারমা সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেয়।
এদিকে এখনো পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি মানিকছড়ি থানা পুলিশ। এনিয়ে মানিকছড়িসহ পুরো জেলাজুড়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ। আর এ ক্ষোভ যেকোন সময় বিক্ষোভে রূপ নিতে পারে।