আইসোলেশনে ‘করোনা’ রোগির চিকিৎসা ব্যাহতের আশঙ্কা

মানিকছড়ি হাসপাতালে জনবল আবাসন ও সরঞ্জামাদি সংকট

fec-image

করোনাভাইরাস’ শনাক্ত রোগী দিন দিন মানিকছড়িতে বেড়েই চলেছে। উপজেলা হাসপাতালে জনবল সংকট,পুরনো অবকাঠামো সংস্কার, আসবাবপত্র (বেড), অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ফ্লোমিটার সংকটে ভুগছে। এতে আক্রান্ত রোগি’র চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা’র প্রাদুর্ভাবে মানিকছড়িতে ইতোমধ্যে ১৪জন আক্রান্ত হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। উপজেলার একমাত্র ৫০শয্যার হাসপাতাল চলছে পুরনো ১১ শয্যার জনবল ও সরঞ্জামাদি দিয়ে! বর্তমানে জনপদে ‘করোনা’র প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের পরিত্যাক্ত ও জরার্জীণ ভবনে চার বেডে আইসোলেশন খোলা হলেও সেখানে পর্যাপ্ত সুবিধা নেই! পুরো হাসপাতাল জুড়ে রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার ১১টি, ফ্লোমিটার ৫টি।

এর মধ্যে অক্সিজেন আনা-নেয়ায় ৫টি সিলিন্ডার শহরে জমা রাখতে হয়। ফলে করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা দিতে গিয়ে চরম বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন থেকে যৎসামান্য চিকিৎসা উপকরণ(এ্যাম্বুলেন্স চাকা, স্প্রে মেশিন, কেএন-৯৫ মাক্স, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, পালস ওক্সিমিটার) সরবরাহ করা হলেও হাসপাতালের সৃষ্ট বিশাল অভাব পূরণীয় নয়। ফলে দিন যতই যাচ্ছে আর জনপদে ‘করোনা’ রোগি বাড়ছে। ততই চিকিৎসা সেবা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন চিকিৎসকরা।

এই সংকট মুহূর্ত্বে সমাজের বিত্তবান, সমাজসেবী ও দানশীল ব্যক্তিবর্গের নিকট জরুরি সহায়তা চেয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুরনো অবকাঠামো সংস্কার, পর্যাপ্ত বেড স্থাপন, অক্সিজেন সিলেন্ডার ও ফ্লোমিটার ক্রয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহায়ত্বের এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ইতোমধ্যে অনেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা বলেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসায় ব্যবহৃত জরুরি উপকরণ, জনবল, অবকাঠামো সংস্কার, বেড স্থাপনে পর্যাপ্ত অর্থ প্রয়োজন।

সমাজের বিত্তবান’রা এগিয়ে না এলে আশানুরুপ সেবা থেকে মানিকছড়িবাসী বঞ্চিত হবে। যারা এই দুর্যোগ মুহূর্ত্বে মানবসেবায় এগিয়ে আসবে আমরা (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) আজীবন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আইসোলেশন, করোনাভাইরাস, মানিকছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন