দীঘিনালা বন বিহারে ২ দিনব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব সম্পন্ন

মানুষে মাঝে সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

fec-image

ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদ মর্যাদা সম্পন্ন) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, “গৌতম বুদ্ধের চিরন্তন বাণী,” অহিংসা পরম ধর্ম্ম বাণী” ধারণ করে জীবনে পূর্নবান হওয়া যায়। সকল ধর্মের বাণী মানুষের মঙ্গলের জন্য, কোন ধর্মেই মানুষ হত্যার কথা বলা হয়নি| মানুষের মাঝে সৌহার্দ ও ভাতৃত্ববোধ গড়ে তোলতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে জীবন গড়তে হবে।”

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বন বিহারে দুদিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গৌতম বুদ্ধের বাণী অনুস্মরণ করে, “হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি ভুলে মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

দানোত্তম কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দীঘিনালা বন বিহারের ভান্তে শুভ বর্ধন মহাস্থবির।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য মিস শতরূপা চাকমা, দীঘিনালা সরকারী ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ তরুন কান্তি চাকমা, দীঘিনালা বন বিহারের সভাপতি হেমান্ত প্রসাদ চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিজ সীমা দেওয়ান চাকমা, বন বিহারের অর্থ সম্পাদক জ্যোতি দেওয়ান প্রমুখ।

এতে উপজেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার থেকে হাজার হাজার পূর্ণার্থী নারী-পুরুষ (উপাসক-উপাসিকা) দীঘিনালা বন বিহারের দানোত্তম কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। এতে ধর্মদের্শনা পাঠ করেন সত্যমত্রি মহাস্থবির, ধীনমতি স্থবির, শ্রদ্ধরত্ন ভান্তে, বুদ্ধ বংশ ভান্তে ও দীঘিনালা বন বিহারের ভান্তে শুভ বর্ধন মহাস্থবির।

সন্ধ্যায় হাজার মোমবাতি ও ফানুস উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মঙ্গল কামনা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর দীঘিনালা বন বিহারের দানোত্তম কঠিন চীবরদান উৎসব শুরু হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন