মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের বেহাল অবস্থা, যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা
এম.আনোয়ার হোসেন:
বাঘাইছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলাধীন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে ছোট- বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল অবস্থা ধারণ করেছে। রাস্তার উপরে পাশের পাহাড়ের মাটি ধসে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। রাস্তার উভয় পাশের অধিকাংশ নালা মাটি ও ময়লা আর্বজনায় ভরে গেছে। এই অবস্থাতেই মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে খুবই ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করছে । ড্রাইভাররা অতিসর্তকতায় গাড়ী চালালেও যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন।
সচেতন মহলের অভিযোগ, খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন বিভাগ কর্তৃক প্রতিবছর রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হলেও কাজে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারসহ যথেষ্ট কারচুপি করা হয়। পাহাড়ী রাস্তার পানি নিস্কাশনের জন্য নালার গুরুত্ব থাকা সত্তেও সড়ক বিভাগ কর্তৃক নালার প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নালার উপর পড়ে থাকা মাটি ও ময়লা আবর্জনা কখনো পরিস্কার করা হয়নি।
এই অভিযোগগুলো স্থানীয় প্রশাসনসহ খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো সত্তেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। রাস্তার অবস্থা বেহাল হলে খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগকে জানানো হত কিন্তু সড়ক বিভাগ সময়মত সাড়া দিতনা। এ অবস্থায় যাত্রীদের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন সময়ে ৩৯বিজিবি, খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ, বাঘাইছড়ি কাঠ ব্যাবসায়ী ও জোত মালিক সমিতি যৌথভাবে রাস্তার বিভিন্ন ভাঙা অংশে ইট বালি ফেলে ও বল্লি ফিলিং করে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করলেও এতে অবস্থার কোন উন্নিত হয়নি।
রাস্তার সংস্কারের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মফিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সড়কটি জনসাধারণ ও পরিবহনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অতি দ্রুত সড়কটি মেরামত করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি অশঙ্কা করেন।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীরের মুঠোফোন কল করেও তার সাথে যোগাযোগ যায়নি। অপর একজন ফোনটি রিসিভ করে তার অনুপস্থিতির কথা বলে বিকেলে ফোন করতে বলেন।