বঙ্গোপসাগর থেকে মিয়ানমারের কার্গো বোটের ৬ ক্রুসহ ২২০ জনকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ
আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
সাগর পথে মালয়েশিয়ার সময় সেন্টমার্টিনের উপকূল থেকে উদ্ধারকৃত ৫ রোহিঙ্গাসহ ২১৪ জন বাংলাদেশিকে টেকনাফে নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ স্থল বন্দরে এনে টেকনাফ থানা পুলিশ সোপর্দ করে। এসময় কোস্টগার্ড মানব পাচারের সাথে জড়িত ৬ দালালকেও আটক পুলিশকে সোপর্দ করে। ওই ৬ দালাল মিয়ানমারের নাগরিক বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
উদ্ধাকৃতদের মধ্যে নরসিংদী জেলার ৬৪ জন, যশোরের ৫২ জন, মেহেরপুরের ৭ জন, ময়মনসিংহের ১জন, চুয়াডাঙ্গার ৫ জন, বগুড়া জেলার ৭ জন, জামালপুরের ১জন, ঝিনাইদহের ২ জন, রাজশাহীর ১জন, টাঙ্গাইলের ১জন, কুড়িগ্রাম ২, ঢাকা ১, বান্দরবান ১, নারায়নগজ্ঞ ৮, সিরাজগঞ্জ ৫, চট্টগ্রাম ৫, কক্সবাজার ১৬, পাবনা ৪, সাতক্ষীরা ১০ ও কুমিল্লা জেলার ২১ বাসিন্দা রয়েছে। অপরদিকে ৫ রোহিঙ্গা উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা রয়েছেন।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, উদ্ধারকৃত ২১৪ জনকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তার পর তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছড়া আটককৃত ৬ দালাল কার্গো ক্রু বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা হয়া হবে।
কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন ষ্টেশন কমান্ডার এম এ নেওয়াজ জানান, সেন্টমার্টিনের জেলেরা পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে ভাসমান কার্গোটি দেখতে পান। পরে তারাই কোস্টগার্ডকে খবর দেন সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সেন্টমার্টিনের উত্তর সাগরে ভাসমান অবস্থায় ট্রলারটি উদ্ধার করে।
আটককৃতরা জানান, তারা ৫দিন আগে কক্সবাজার ও টেকনাফ উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মালয়েশিয়া যাত্রার উদ্দেশ্যে ট্রলারটিতে উঠে। যাত্রার কয়েকদিন পর ট্রলারের মাঝি মাল্লারা ট্রলারটি মিয়ানমার উপকূলের দিকে ভিড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে যাত্রীরা তা বুঝতে পেরে মাঝি মাল্লাদের বেধে ফেলে। পরে তারা ট্রলারটি বাংলাদেশের দিকে চালিয়ে নিয়ে আসার একপর্যায়ে তা বিকল হয়ে যায়।
এসময় ট্রলারে থাকা যাত্রীরা জীবন বাচাঁতে মোবাইলের মাধ্যমে আত্মীয় স্বজনদের খবর দেয়। তাদের স্বজনদের মাধ্যমে এখবর মিডিয়া কর্মী ও কোস্টগার্ডের কাছে পৌছঁলে কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযানে নেমে তাদেরকে খুঁজে পায়। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) দিদারুল ফেরদৌস জানান, আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের স্বীকার উক্তির ভিক্তিতে দালালসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।