মিষ্টি হাসির আড়ালে কঠিন রোগে আক্রান্ত পানছড়ির শিশু সামিয়া
পানছড়ির ক্ষুদে শিশু সামিয়ার মুখে মিষ্টি হাসি লেগেই থাকে। ক্ষণিকেই মন জয় করে মিষ্টি হাসিতে। কিন্তু হাসির আড়ালে শিশুটি আক্রান্ত কঠিন রোগে। ডাক্তারের পরামর্শ দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে সামিয়া।
জানা যায়, শিশু সামিয়া ৩নং পানছড়ি ইউপির দমদম গ্রামের মো. আবদুস সালাম ও শারমিন আক্তারের মেয়ে। স্বাভাবিক ও সুস্থ হয়ে জন্ম নিলেও জন্মের ১৫ দিন পর থেকেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খিচুনি, কিডনি সমস্যা ও প্যারালাইসড এর মতো রোগ দেখা দিলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়। ডাক্তারের পরামর্শ মতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু সার্জারী বিভাগে ২২ দিন চিকিৎসা নেয়। কিন্তু সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ঔষধ পত্রে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়।
ডাক্তারের পরামর্শ মতে ছয় মাসের অধিক সময় ধরে শিশু সার্জারী বিভাগে থেকে চিকিৎসা নিলে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। এতে দরকার প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা। গরীব বাবা-মায়ের অভাবের সংসারে চিকিৎসার এতো টাকা ব্যয়-ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। সামিয়ার ভাই ৩য় শ্রেণিতে পড়ৃয়া নাঈমের কান্নায় ভারী হচ্ছে পরিবেশ।
এলাকাবাসীর দাবি সকলে সহযোগিতার হাত বাড়ালে শিশু সামিয়া স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
পানছড়িসদর ইউপির ৪, ৫,ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য রহিমা বেগম জানান, শিশুটির মায়াবী হাসি সবার নজর কেড়ে নেয়। তাই সকলে এগিয়ে আসা দরকার। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনসহ খাগড়াছড়ির মানবিক জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করছে সবাই। এছাড়াও সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে সামিয়াকে সুস্থ করতে পারি। সামিয়ার বাবা আ. সালামের নগদ অ্যাকাউন্ট নাম্বার (০১৬৪৬৬৭৪৬২৬)।