মিয়ানমারের অর্ধেক অঞ্চল সামরিক জান্তার হাতছাড়া

fec-image

মিয়ানমারের অর্ধেক অঞ্চল এখন সামরিক জান্তার হাতছাড়া বলে দাবি করেছে বেসামরিক ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)। এক বছরের মধ্যে মিত্র জাতিগত বিপ্লবী সংস্থা (ইআরও) এবং তাদের পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) যৌথভাবে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ চালানোর পর অর্ধেক মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ‘রোডম্যাপ’ স্বাক্ষর করেছে জান্তা।

জান্তার বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ ঘোষণার এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বুধবার এক বক্তৃতায় এনইউজির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ডুয়া লাশি লা বলেছেন, পিডিএফ ও ইআরও’র ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। আঞ্চলিক আধিপত্যের ক্ষেত্রে জান্তার কাছ থেকে দেশের অর্ধেকের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছে।

তিনি জানান, এনইউজি দেশব্যাপী ৩০০টিরও বেশি পিডিএফ ব্যাটালিয়ন গঠন করেছে। অন্যান্য টাউনশিপ পাবলিক ডিফেন্স ফোর্স গত বছরে সারা দেশে ৩৩০টির মধ্যে ২৫০ টাউনশিপে গঠন করা হয়েছে। ২৪টি টাউনশিপে এনইউজির জনপ্রশাসন ও বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ শক্তিপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছে।

জনপদগুলোর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পৌরসভা এবং সামাজিক পরিষেবাগুলোও এনইউজির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের রাশিয়া সফরের সময় মঙ্গলবার দুদেশের পরমাণু সহযোগিতার রোডম্যাপ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে রাশিয়ার কাছ থেকে আণবিকশক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবে মিয়ানমার। রোশাটম বলেছে, জান্তাপ্রধানের উপস্থিতিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পরমাণু করপোরেশন রোশাটমের মহাপরিচালক আলেক্সে লিখাচেভ এবং জান্তা সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মায়ো থেইন কাইয়ো এবং ইলেকট্রিক পাওয়ার মন্ত্রী থং হান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ইরাবতি

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার, সামরিক জান্তা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন