মিয়ানমার: ১১ জনকে নির্বিচারে হত্যার অভিযোগ

fec-image

মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সাগাইংয়ের একটি গ্রামে ১১ জনকে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ড চালানোর অভিযোগ উঠেছে দেশটির জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে। মিয়ানমার সেনা সদস্যরা সেখানকার লোকজনকে গুলি করে ও তারপর পুড়িয়ে মারা চেষ্টা চালায়, এমন অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও বেঁচে আছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসীরা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানায়, নিহতরা ছিল খামারের শ্রমিক। যদিও একটি সংবাদ প্রতিবেদনে নিহতদের নাম দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে বেশিরভাগই জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করা স্থানীয় পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) মিলিশিয়ার সদস্য।

ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার নাউসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি ভিডিও ফুটেজগুলো কতটা সত্য।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর ওই এলাকায় জান্তা সরকারবিরোধী একটি মিলিশিয়া বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছিল। এই বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর এখনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ হামলার বিষয়ে জানতে জান্তা সরকারের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনকল ধরেননি, বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ওই এলাকায় কাজ করেন এমন এক স্বেচ্ছাসেবী ত্রাণকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মঙ্গলবার মিয়ানমার সেনারা দন তাও গ্রামে প্রবেশ করেন। এরপর ১১টার দিকে হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, সেনারা যাকে সামনে পেয়েছেন, তাকেই হত্যা করেছেন। তবে তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি, নিহতরা মিলিশিয়া সদস্য, নাকি সাধারণ মানুষ।

এ ঘটনার একদিন আগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের নেত্রী অং সান সু চির সাজা কমিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলার রায়ে তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা আদালতে বিচারাধীন। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) তার প্রথম মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা সব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সু চিকে হয়তো যাবজ্জীবন কারাভোগ করতে হতে পারে।

সূত্র: রেডিও ফ্রি এশিয়া, রয়টার্স

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন