মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী ধরতে খাগড়াছড়ি ইউপিডিএফ অফিসে সেনা অভিযান

 ইউপিডিএফ

স্টাফ রিপোর্টার:

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভর বাজারস্থ ইউপিডিএফ অফিসে দুই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী অবস্থান করছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিকে তাদের ধরতে সেখানে অপারেশন চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের একটি টিম। কিন্তু সেনা অভিযানের খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা কৌশলে পালিয়ে গেলে চিনতে না পেরে অপর দুইজনকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও তাদের ফেলে যাওয়া মটরসাইকেল আটক করা হয়। মটর সাইকেলটি বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের ব্রিগ্রেড মেজর মেজর রুবাইয়াত পার্বত্যনিউজকে বলেন, জিকো ত্রিপুরা ও দিব্য চাকমা নামে দুই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ অফিসে অবস্থান করছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সেখানে অভিযান চালাই। জিকো ত্রিপুরা ওই সংগঠনের ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের জেলা সহসভাপতি পদে রয়েছে। আমাদের কাছে খবর ছিল তারা দুপুরে সেখানে লাঞ্চ গ্রহণ করে। সেনাবাহিনী ওই অফিসটি ঘেরাও করে রাখে। কিন্তু সেনা উপস্থিতি টের পেয়ে তারা যেকোনোভাবে পালিয়ে যায়। তাদের ফেস পরিচিত না থাকায় ভুল করে অপর দুইজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। কিন্তু তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে দ্রুত তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভরস্থ ইউপিডিএফ কার্যালয়ে সেনা কর্তৃক হামলার অভিযোগ করেছে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা। পাশাপাশি তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে কোন কারণ ছাড়াই একদল সেনা সদস্য ইউপিডিএফ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অফিস স্টাফ জুয়েল চাকমাকে আটক করে নিয়ে যায়। যদিও তাকে অর্ধেক রাস্তা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

বিবৃতিতে তিনি আরো জানান, ‘ইউপিডিএফ কার্যালয়ে হামলা ছাড়াও সেনা সদস্যরা মধ্য খবংপুয্যা গ্রামে হানা দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বাবলু তালুকদার (৪০), পিতা রবি চন্দ্র তালুকদার ও তাঁর বাড়িতে বেড়াতে আসা দেবনিষ চাকমা (৩৫), পিতা-সুভাষ চাকমা নামে দুই গ্রামবাসীকে আটক করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে বাবলু তালুকদার উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মচারী।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন