যেসব কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়

fec-image

দৈনন্দিন জীবনে ভালো গুণের পাশাপাশি কিছু কারণে আমাদের সবার মধ্যেই থাকতে পারে। কিন্তু এমন কিছু অভ্যাস আছে যা আপনার যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। সতেজ ও সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য এই বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

অপুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ
যে সমস্ত মানুষের খাদ্য তালিকায় বার্গার, ফ্রাই, চিপস বা কোমল পানীয়ের মত খাবার থাকে তাদের স্মৃতি ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মস্তিষ্কের কার্যকর অংশগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট হয়ে যায়। অন্যদিকে সবুজ শাকসবজি, বেরি ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ করে। এছাড়াও, অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি, লবণ, চর্বি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করলে আলঝেইমার এবং পারকিনসনের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রেডমিট, দুগ্ধজাত খাবারের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, বাদাম, বীজ এবং মাছ রাখতে পারেন।

জোরে গান শোনা
যদিও সঙ্গীত আমাদের মন ভালো রাখে, তারপরও অতিরিক্ত জোরে গান শোনা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে জোরে জোরে গান শোনা মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। কখনও কখনও জোরে জোরে শব্দ শ্রবণশক্তি হ্রাস করতে পারে।

কম পানি খাওয়া
পানি মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অনেকেই দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। এই অভ্যাস আপনার স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। বিশেষ করে শারীরিক কার্যকলাপের আগে এবং পরে মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত রাখতে পানি পান প্রয়োজন।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্ত্রিনের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ক্লান্তি এবং অনিদ্রার কারণ হতে পারে। বড়দের মতো শিশুরাও যদি স্ক্রিনে অতিরিক্ত সময় কাটায় তাহলে তা তাদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এ কারণে সবারই স্ক্রিন টাইম সীমিত করা প্রয়োজন।

ধূমপান ছাড়তে না পারা
ধূমপান মস্তিষ্কের আয়তন ছোট করে ফেলতে পারে। স্মৃতিশক্তি হ্রাসের জন্য এই বদভ্যাসটিকে দায়ী করা হয়। সেই সাথে ডিমেনশিয়া ও আলজেইমার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় ধূমপান। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে এটি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন